প্রাক-নিবন্ধন করেছেন এমন লক্ষাধিক মুসল্লি এবার হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ধর্ম সচিব আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এবার হজে যেতে ইচ্ছুক এমন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৩ জন। কিন্তু সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার হজে যেতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে সাত হাজার ১৯৮ জন আর বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার জন।
‘অর্থাৎ মোট এক লাখ দুই হাজার ৫৬৫ মুসল্লি হজে যেতে পারবেন না।’
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে হজ-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্ম সচিব। ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবের মক্কায় এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
তাহলে প্রাক-নিবন্ধনকারীদের মধ্যে কারা হজে যেতে পারবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম সচিব বলেন, ‘হজের প্যাকেজ ঘোষণার পর যাঁরা প্রথম নিবন্ধন করবেন, তাঁরাই হজে যাবেন। এখানে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। বাকিরা অপেক্ষমাণ থাকবেন। হজ এজেন্সিগুলোও এই নিবন্ধন করবে। সেখান থেকে কেউ যদি না যায়, তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে হজে যাওয়ার জন্য যাত্রী পাঠানো হবে।’
তবে হজযাত্রী বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান ধর্ম সচিব। তিনি আরো জানান, এবারের হজযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমান অর্ধেক অর্ধেক ভাগাভাগি করে পরিবহন করবে।
‘সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি সে দেশের নাগরিকদের ওপর পাঁচ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে। তা হজযাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে চায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে খাদ্য, বাড়িভাড়া, যানবাহন ভাড়া বাড়তে পারে। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকেন।’
হজের প্যাকেজ কবে নাগাদ ঘোষণা হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই হজ প্যাকেজ ঘোষণার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে না হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে অবশ্যই তা করা হবে।
এবার ভারত থেকে প্রচুর হজযাত্রী জাহাজে করে হজে যাচ্ছেন। এতে তাঁদের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হবে। বাংলাদেশও সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে কি না?
জবাবে ধর্ম সচিব বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সময় জাহাজে যাত্রী পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে অনুমতি দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত বছর যেসব হজ এজেন্সি অনিয়ম করেছে, যাদের মাধ্যমে হজে গিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরে আসেননি, চুক্তি অনুযায়ী সেবা দেয়নি এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে।
তদন্তকাজ শেষ হলেই সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ধর্মমন্ত্রী।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১ : ২৫ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮, রোববার
এইউ