আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইরানের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন রাষ্ট্রদূত

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহসেন মুহাম্মদি মিয়ানমারে বলেছেন, মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে আনাই তার দেশের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য এ পর্যন্ত ত্রাণের দুটি চালান বাংলাদেশে পৌঁছেছে এবং তৃতীয় চালানও শিগগিরি পাঠানো হবে।

তিনি থাইল্যান্ডের পাশাপাশি মিয়ানমার ও লাওস বিষয়ক ইরানের প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার ওপর আমরা নজর রাখছি এবং এই সংকট যেন বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যকার জাতিগত সংঘাতে রূপ না নেয় সেজন্য তেহরান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহসেন মুহাম্মদি আরো বলেছেন, ‘ইরান গত কয়েক বছরে থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদদের সঙ্গে এবং মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংকট আরো তীব্রতর হওয়ায় ওই সংলাপ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেছে।’

তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ওয়াহাবি চিন্তাধারায় পুষ্ট আল কায়দা ও আইএস সন্ত্রাসীরা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন তারা মিয়ানমারসহ বিশ্বের অন্যান্য এলাকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।’

গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হতাহত এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৩:০৩ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share