Home / জাতীয় / রোহিঙ্গাদের জন্যে নতুন করে যা করছেন সেনাবাহিনী- ভিডিও
Army Inside Rohinga
রোহিঙ্গ দিক্ষ

রোহিঙ্গাদের জন্যে নতুন করে যা করছেন সেনাবাহিনী- ভিডিও

রোহিঙ্গাদের মাঝে সুষ্ঠু ও সমন্বিতভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পরিবার প্রতি একটি করে ত্রাণ কার্ড দেয়া হবে। দু’এক দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে।

সেনাবাহিনী ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্ব নেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় জানিয়ে টেকনাফের মুছনি শরণার্থী ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর করিম বলেন, ‘সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে আজ থেকে পুরোদমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।’

সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে ত্রাণকার্ড করে দেবো। তাহলে এক সপ্তাহের খাবারসহ যাবতীয় সহযোগিতা একসাথে দিয়ে দিতে পারবো। ফলে তাদেরকে প্রতিদিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না। তাতে দু’পক্ষেরই ঝামেলা কমবে।’

তিনি বলন, কার্ডের পেছনে ক্যালেন্ডার থাকবে, ত্রাণ গ্রহণের পর প্রতিটি কার্ডে তা লিপিবদ্ধ থাকবে। এদিকে উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পের আশেপাশের রাস্তাঘাটে যানজট ও যেখানে সেখানে রোহিঙ্গাদের জটলা আজ একেবারেই দেখা যায়নি।

আজও উখিয়া ডিগ্রি কলেজে স্থাপিত ত্রাণ বিতরণ ও গ্রহণের ক্যাম্পে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার ত্রাণ-সামগ্রী গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী।

ত্রাণ গ্রহণে নিয়োজিত সেনা সদস্যরা বলেন, খাদ্য, ওষুধ, গৃহনির্মাণ সামগ্রীসহ নানা পণ্য আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য।

এর মধ্যে রয়েছে- চাল, চিড়া, গুড়, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, মসলা, বিরিয়ানির প্যাকেট, আপেল, গুঁড়োদুধ, ওষুধ, বিস্কুট, বাসনপত্র ও ত্রিপল। আবার অনেকে নগদ টাকাও দিচ্ছেন।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ২০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জমিতে ১৪শ’ শেড নির্মাণ করা হবে। এসব শেডে ৮৪ হাজার শরণার্থী পরিবারের সংকুলান হবে। প্রতি পরিবারে ৬ জন হিসেবে ৫ লাখ ৪ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক এসব শেডে থাকতে পারবেন।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শিগগিরই এসব শেড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে এই মুহূর্তে ত্রাণ বিতরণকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাসূত্র।

উখিয়া ডিগ্রি কলেজে স্থাপিত ত্রাণ কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী মেজর রাশেদ আকতার জানান, ‘ত্রাণ কার্যক্রমের পুরো বিষয়টি এখন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ত্রাণ গ্রহণেও আর সমস্যা নেই। খাতায় লিপিবদ্ধ করে ত্রাণ গ্রহণ করে অস্থায়ী গুদামে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রয়োজনমত বিতরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা ত্রাণ বিতরণ ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের দিকে নজর দিচ্ছি।’

এদিকে আজ রবিবারও সহস্রাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্ক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ০৩ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply