Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর রেলওয়েতে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ দোকান : ভোগান্তিতে যাত্রীসাধারণ
চাঁদপুর রেলওয়ে ঘুন্টিঘরে অবৈধ দোকান : ভোগান্তিতে যাত্রীসাধারণ

চাঁদপুর রেলওয়েতে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ দোকান : ভোগান্তিতে যাত্রীসাধারণ

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে ঘুন্টিঘর পুনরায় নির্মাণের পর এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝুকিপূর্ণভাবে ঘরটির চারপাশের জায়গা দখল করে যাত্রীসাধারণের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।

রেলকর্তৃপক্ষ এ সমস্যার দিকে তেমন দৃষ্টি না দিয়ে কোন অজ্ঞাত কারণে ব্যবসায়ীদের প্রতি কোমল মনোভাব দেখাচ্ছে তা ’ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখে আসছে। এ সমস্যা নিয়ে সভা সেমিনারের কমতি নেই। তারপরেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে যানজট নিরসনের উদ্যোগ বারবার ভেস্তে যাচ্ছে।

বিশেষ করে চাঁদপুর শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান কোর্টস্টেশন, কালীবাড়ি, শপথ চত্ত¦র ও পালবাজার গেট এলাকায় সর্বদা লেগেই থাকে যানজট।

চাঁদপুর কালিবাড়ী রেলওয়ে কোর্টস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের ঘুন্টিঘর ও এর পাশে পাশে ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান।

রেলওয়ে ফ্লাটফর্মের রেলগেটের সাথে ঘুন্টিঘরের সামনে ও সংলগ্ন অবৈধ ফল ব্যবসায়ীরা এমনভাবে তাদের মালামাল নিয়ে দীর্ঘদিন বসে রামরাজত্ব করছে এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

শহরের এ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছে সেখানে বসে পরছে। তাদের ওপর নিয়মিত তদারকি না থাকায় তারা তাদের ইচ্ছেমতো যা’খুশি তাই করছে। শুধুমাত্র রেল লাইনের আশ-পাশে নয় খোদ ঘুন্টিঘরেও একটি চক্র তাদের মালামাল রাখার নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁছে নিয়েছে।

গত বছর অগ্নিসংযোগে ঘুন্টিঘর পুড়ে ছাই হলেও এতে ওই চক্রের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। বরং তাদের কপাল খুলেছে । তারা নতুন করে নব নির্মিত ঘুন্টিঘরে তাদের মালামাল রেখে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

একদিকে ট্রেন আসছে অন্যদিকে তাদের দোকানের ওপর ছাতা খুলে চলছে ব্যবসা। এতে করে সাধারণ যাত্রীরা চলাচল ও ট্রেন থেকে উঠা-নামার জন্য ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায় , চাঁদপুর শহরের কতিপয় ব্যবসায়ী রেলকর্তৃপক্ষকে মাসিক মাসোয়ারার বিনিময়ে এভাবে দিনের পর দিন তাদের ব্যবসা করে আসছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে থানার চাঁদপুর ইনচার্জ ওসমান গণি পাঠান জানায়, ‘এ সব ব্যবসায়ীরা অবৈধ। তাদেরকে বেশ ক’বার উচ্ছেদ করা হলেও তারা পুনরায় বসে যায়। আবারো পদক্ষেপ নেয়া হবে। তা’ছাড়া আমরা গণপূর্ত বিভাগের মেমো পেলে ব্যবস্থা নিবো। ’

রেলওয়ে সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘যারা অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে ও জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ব্যবসা-বাণিজ্যে করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রেলওয়ে এসএসএই (লাকসাম) রামনারায়ণ ধর জানান, ‘আমি আগামী কালকের মধ্যেই রেলওয়ে থানাকে ও দায়িত্বরতদের মেমো দিব। তারা ব্যবস্থা নিবে।’

চাঁদপুরে কর্তব্যরত এস.এ.ই জাহান শরিফের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘বহুবার বলেছি, তারা শুনতে চায়না। আবারো ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো রকম জবাব একটা দিয়েই তিনি কেটে পড়েন।’

এদিকে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখে এ সব অসাধু ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা একান্ত জরুরি।

পৌরবাসীর প্রত্যাশা ও যাত্রীসাধারণের দাবি শহরের সৌন্দর্য রক্ষা ও যানজট নিরসনসহ জনসাধারণের চলাফেরায় স্বস্থির জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের এবং রেলকর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজর দেবে।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬: ০০ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার
এজি/ডিএইচ

Leave a Reply