অর্থনীতি

রিজার্ভ চুরিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪ বিভাগের অন্তত ১৩ জন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। এছাড়া ৪ দেশের ২৫ নাগরিককে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। দেশগুলো হলো ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, চীন ও সিঙ্গাপুর।

রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ সদস্যের মধ্যে রয়েছে একাউন্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগ এবিডির ব্যাক অফিসের ৪ জন, আইটি অপারেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ৩ জন, ফরেক্স রিজার্ভ এ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট- এফআরটিডিএম বিভাগের ২ জন ও পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ-পিএসডির ৪ জন।

তন্দন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ১৩ জনের দায়িত্বে অবহেলা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির জন্যে দায়ী এবং চুরিতে ২৫ জন বিদেশিও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা ফিলিপাইন, চীন ও শ্রীলংকার নাগরিক।

দায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে পাঁচ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো:

আরসিবিসি

২. ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশন

ইস্টার্ন হাউআই লিজার লিমিটেড
ব্লুমবেরি এ্যান্ড হোটেল
স্যালিকা ফাউন্ডেশন

সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা যারা চুরি করেছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংগঠনের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বাংলাদেশের ব্যাংকের নেটওয়ার্ক সিস্টেম দুর্বল হয়ে যাওয়ার পরে এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে যারা এই তৎপরাতা চালিয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে চিহ্নিত করেছি।’

ইন্টারপোল ও দূতাবাসসহ ১২ দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে তদন্ত কাজ চালাচ্ছে সিআইডি। যা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে আইপি ফরেন্সিক রিপোর্ট, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনসহ অন্তত ৩ দেশের ২৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তির জড়িত থাকার প্রমাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেতে আরো বেশ কিছু সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা সিআইডি।(সূত্র:ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:৪০ পি,এম ২৬ আগস্ট ২০১৬,শুক্রবার
ইব্রাহীম জুয়েল

Share