Home / জাতীয় / রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা রেখেই বিধিমালা জারি
`law

রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা রেখেই বিধিমালা জারি

রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা রেখেই অবশেষে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা জারি করেছে সরকার। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এই বিধিমালার গেজেট বা প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গত রাতেই প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালায় সুপ্রিম কোর্টের হাতে কোনো ক্ষমতাই রইল না। এত দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা নিম্ন আদালত পরিদর্শনের সময় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চোখে পড়লে সে বিষয়ে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু বিধিমালা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা কেবল উদ্যোগ নিতে পারবেন। ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষই’ ব্যবস্থা নিতে পারবে। অভিযুক্ত বিচারকদের দণ্ড দেওয়া থেকে শুরু করে সব ক্ষমতাই ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ ও রাষ্ট্রপতির হাতে রাখা হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী বিচারকদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বলতে রাষ্ট্রপতি অথবা সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত কর্মবিধিমালার (রুলস অব বিজনেস) আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বোঝাবে। অর্থাৎ বিচারকদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হবে রাষ্ট্রপতি অথবা আইন মন্ত্রণালয়।

বিধিমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগীয় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোনো অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রয়োজন হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রেষণে নিয়োজিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও একই বিধান রাখা হয়েছে। তবে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করে তদন্তকাজ সম্পন্ন করার বিধান করা হয়েছে। বিচার বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে তাঁকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ (মন্ত্রণালয়) তার অফিসে সংযুক্ত করবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো যথাযথ স্থানে অবস্থান করবে।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা মাঝেমধ্যে নিম্ন আদালত পরিদর্শনে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেবেন।

বিধিমালার ১৮ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে তা তদন্তের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষই (মন্ত্রণালয়) সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

বিধিমালার ১৫ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগীয় কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ (রাষ্ট্রপতি) দণ্ড আরোপ করবে। ২২ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, লঘুদণ্ড ছাড়া গুরুদণ্ড দিতে হলে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি ওই দণ্ড দেবেন।

ওই সব বিধিমালায় সুপ্রিম কোর্টের আপত্তি ছিল। সে কারণে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সময় মন্ত্রণালয়ে খসড়া বিধিমালা ফেরত দেওয়া হয়েছিল।

বিধিমালায় কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণ করার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এ গেজেট আপিল বিভাগে দাখিল করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আলোচনায় এই বিধিমালার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে এই শৃঙ্খলাবিধির গেজেট করা হয়েছে। এই শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে। কিন্তু আমি আজকে আপনাদের বলছি, বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। শুধু একজন বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা গেজেটটা করতে পেরেছি। ’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ও রাষ্ট্রপতির পরামর্শে এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী শৃঙ্খলাবিধি করা হয়েছে। ’

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগেও গেজেট করা হয়েছিল; কিন্তু এক ব্যক্তির কারণে গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে।

যে মামলার কারণে (মাসদার হোসেন মামলা) নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা করার নির্দেশনা আসে সেই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য শৃঙ্খলাবিধি প্রকাশের খবর আজ (সোমবার) বিকেলে জানা গেল। বিধির গেজেট হাতে না পেলে, এর ওপর কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

তবে আমি সুপ্রিম কোর্টে গতকালও (রবিবার) এ বিষয়ে শুনানিতে বলেছি, অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পূর্ণাঙ্গ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকা উচিত। মাসদার হোসেন মামলার রায়েও এ রকম নির্দেশনা ছিল সুপ্রিম কোর্টের। ’

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমেই নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ করার বিধান নতুন শৃঙ্খলাবিধিতে রাখা হয়েছে। এতে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার থাকবে না।

এই প্রথম বিচারকদের জন্য শৃঙ্খলাবিধি : অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য কখনো কোনো শৃঙ্খলাবিধি ছিল না। ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলাবিধির আওতায়ই বিচারকদের চাকরি, পদোন্নতি, নিয়োগ ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রিত হতো। ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলায় ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই রায়ে সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই ১২ দফার ৭ নম্বর দফায় বলা ছিল, নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য চাকরির শৃঙ্খলাবিধি করতে হবে, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকবে। ঐতিহাসিক ওই রায়ের কিছু অংশ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হলেও বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি এত দিন বাস্তবায়িত হয়নি।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট করতে এ পর্যন্ত ২৫ বার সময় নিয়েছে সরকার। কিন্তু সর্বশেষ সময় নেওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সমঝোতার ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর এ বিষয়ে নতুন খসড়া করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত পেয়ে সেটি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর গেজেট আকারে জারির মধ্য দিয়ে ১৮ বছর আগের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

টানাপড়েন, কালক্ষেপণ : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপড়েন চলছিল অনেক দিন ধরেই। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে রেখে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে তা সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছিল আইন মন্ত্রণালয়।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপতির বদলে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ক্ষমতা নেওয়ার প্রস্তাব করে খসড়াটি সংশোধন করে দিয়েছিলেন। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু সরকার সেটা না করে বারবার সময় নিতে থাকে।

গত বছর ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালাসংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপর ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব আদালতে হাজির হয়ে রাষ্ট্রপতির একটি প্রজ্ঞাপন দাখিল করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গেজেট জারির প্রয়োজন নেই। এর পরও আপিল বিভাগ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট জারির নির্দেশ দেন। কিন্তু গেজেট জারি না করে একের পর এক সময়ের আবেদন করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ প্রেক্ষাপটে গত ১৬, ২০ ও ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। ২৭ জুলাই খসড়া হস্তান্তর করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ওই খসড়া গ্রহণ করেননি। এর পর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ আবারও সময়ের আবেদন করছিল।

সরকারের সবচেয়ে বড় আপত্তির জায়গা ছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট নিতে চান—এমনটি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, সেটা সংবিধানসম্মত হবে না। এর পরও তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে হুমকি দিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকার মানছে না কেন? পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কী পরিণতি, এটা জানেন তো?’ এরপর সরকারের সঙ্গে তখনকার প্রধান বিচারপতির দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে।

এ বিষয়ে সরকারের করা খসড়ার পাঁচটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে খসড়া সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। এতে বিচার বিভাগের স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সরকারের প্রস্তাব বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলা হয়।

এ ছাড়া সরকার কর্তৃক গেজেট জারির বিধান বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট যে তারিখে বিধিমালা কার্যকর করতে বলবেন সেই তারিখে আইন মন্ত্রণালয়ের গেজেট জারি করার এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে বিধিমালা কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হয়। প্রেষণে সরকারের অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দায়িত্বরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তির বিধান করা হয় খসড়ায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ বিধান বাদ দেন। অভিযোগ ওঠার পর অনুসন্ধান করা নিয়েও সরকারের খসড়া নিয়ে আপত্তি ছিল সুপ্রিম কোর্টের।

তবে দৃশ্যপট পাল্টে যায় গত ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের পর। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৬ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের সমঝোতা হয়। এরপর নতুনভাবে বিধিমালার খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়। ওই খসড়া সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর পর সুপ্রিম কোর্ট তাতে মতামত দেন। (কালেরকণ্ঠ)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ