চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের রামপুরে সপ্তাহে দু’দিন শনি ও বুধবার বসে রাতের পান বাজার। ভোর হলেই এ বাজারের বেচাকেনা শেষ হয়। প্রতিদিনের বাজারে লাখ লাখ টাকার পান বেচাকেনা হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাতে পান ক্রয় করতে ভিড় জমে পাইকারি ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, রাতেই পান নিয়ে আসেন বিভিন্ন বিক্রেতারা। টানাহেঁচড়া আর দাম তোলার মধ্য দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে লাখ লাখ টাকার পান বেচাকেনা হয়।
ফরিদগঞ্জ রামপুরের পান বেচাকেনার ঐতিহ্য ৬০ বছর ধরে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এখানে পান বেচাকেনা করে টাকা পয়সা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন বলে এখানের পান ব্যবসা সারাদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
চাঁদপুরের হাইমচরের মিঠা পান সারাদেশের বেশ জনপ্রিয়। যার জন্য রাত ৩টার মধ্যে হাইমচরের পানচাষিরা পান নিয়ে বাজারে ছুটে আসেন। সাড়ে ৩টায় পান বেচাকেনা শুরু হয়, আর শেষ হয় ভোর ৬টায়।
পান বিক্রেতা আমিন বেপারী, সোবহান ভূইয়া ও কালু মিয়া বলেন, আমরা কৃষক, দিন মজুর ও দরিদ্র। তাই জীবিকা নির্বাহ করতে দিনে নিজ নিজ কাজ সেরে নেই। পরে সুবিধা ও একটু বেশি আয়ের জন্যই মধ্যরাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে নিশ্চিন্তে এখানে পান বিক্রি করতে আসি। এতে দিনে কাজ করে আয় হলো আর রাতেও সংসারের জন্য একটু বেশি রোজগার হলো।
পান বিক্রেতা ৮০ বছরের আলী হোসেন বলেন, রামপুর বাজারে আমি ৬০ বছর ধরে রাতে পান বিক্রি করে আসছি। এখানে ব্যবসা জমে খুব ভালো।
রাতে পান বাজারের শতশত ক্রেতা-বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয়। সচেতন মহলের দাবি, এই রামপুর পান বাজারটির পান ব্যবসা নিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করা প্রয়োজন। যা ব্যবসায়ীদের আয় ও জাতীয় আয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
এছাড়া রামপুরের রাতের পান বাজারের জায়গা প্রসারিত, আলোর ব্যবস্থাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৯ : ০০ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ