ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটা জয় দরকার ছিল রাজশাহীর। চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল দলটি। উঠে দাঁড়াতে জয়ের বিকল্প ছিল না। আত্মবিশ্বাস বাড়ানো সেই জয়টি সিলেটের বিপক্ষে পেল মুশফিক-স্যামিরা। নাসির হোসেনের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। এই জয়ে রংপুর রাইডার্সকে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে ঠেলে দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো দলটি।
জয়ের জন্য রাজশাহীর সামনে ১৪৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল সিলেট। ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৫ রান তুলে নেয় রাজশাহী কিংস। নবম ওভারে ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। পরের ওভারে সামিত প্যাটেলকে ফিরিয়ে খেলায় ফিরেছিল সিলেট। তবে উইকেটে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যান মুমিনুল। জাকিরকে নিয়ে যোগ করেন ৩১ রান। ৩৬ বলে ৪২ রান করে মুমিনুল ফিরলেও বাকি কাজটুকু বেশ দায়িত্বের সঙ্গেই শেষ করেন মুশফিকুর রহিম ও জাকির। মুশফিক ২৫ ও জাকির ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক স্যামি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মাঠে দারুণভাবে যৌক্তিক প্রমাণ করেছেন রাজশাহীর বোলাররা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে সিলেট সিক্সার্সকে ১৪৬ রানেই বেঁধে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ-জেমস ফ্রাঙ্কলিনরা।
প্রথম ওভারেই আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানি স্পিড স্টার মোহাম্মদ সামি। উপুল থারাঙ্গা নির্ভরতার পরিচয় দিচ্ছিলেন। চতুর্থ ওভারে তাকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। দানুশকা গুনাথিলাকা এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তে উইকেটে আগলে রাখতে পারেনি সিলেট। নুরুল হাসান সোহান ও নাসির হোসেন দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি।
শেষ কয়েক ওভারে টিম ব্রেসনান ও সাব্বির রহমান রাজশাহীর বোলারদের ওপর চড়াও হন। ফরহাদ রেজার করা ১৮তম ওভারে ২৪ রান নেন সাব্বির ও ব্রেসনান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে রানের ১৪৬ মাঝারি সংগ্রহ গড়ে সিলেট সিক্সার্স। সাব্বির ২৬ বলে করেন ৪১ রান। এ ছাড়া ব্রেসনান ২৯ রান করেন। শেষ তিন ওভারে ৫৩ রান নেয় সিলেট।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে কেসরিক উইলিয়ামস নেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া মোহাম্মদ সামি, মেহেদী হাসান মিরাজ, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও সামিত প্যাটেল নেন একটি করে উইকেট।
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ ৫:৪৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭ শুক্রবার।
এ.এস