Home / চাঁদপুর / রাজরাজেশ্বরে ১৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
রাজরাজেশ্বরে ১৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

রাজরাজেশ্বরে ১৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এতে প্রবল ¯্রােতের সৃস্টি হয়ে বুধবার ১৬ আগস্ট রাত ১১টা চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লগ্মিমারা,বরিয়ারচর,গোয়ালনগর, মান্দেরবাজার এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট দুপুরে) ভাঙ্গনকৃত ও ভাঙ্গনের আশংকাকৃত এলাকাগুলোতে পরিদর্শন করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা কানিজা ফাতেমা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে সাথে কথা বলেন ও খোজখবর নেন ।

তিনি ভাঙ্গণে কবলিত মানুষদেরকে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণের মধ্যে ছিল- শুকনো খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসা ঔষধ পত্র।

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উদ্দেশ্য বলেন মাননীয় সাংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বিষয়টি জেনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তারা বলেন- চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতি ও ভাঙ্গণ মোকাবেলার জন্য যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি সহ সকলকে কাজ করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিষেক দাস, জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র নন্দি, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী সহ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধীবৃন্দ

ইউএনও রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.হযরত আলী বেপারীকে ভাঙ্গনের আশংকাকৃত এলাকাগুলো মোকাবেলা জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.হযরত আলী বেপারী জানান ওই এলাকার নদীর তীরবর্তি বাকী অংশগুলোও ভাঙ্গনের আংশাকা রয়েছে তাই আমরা ঘর বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছ। আমরা ঘর বাড়ী ভাঙ্গনের শিকারকৃত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। তাদের যতটুকু সহযোগিতা তা করার জন্য চেস্টা করব।

ওই এলাকার মৃত আক্কল আলী প্রধানিয়ার ছেলে রফিক জানান, আমাদের এখানে ভাঙ্গনের আশংকাকৃত বাড়িঘরগুলোর মানুষরা নির্দিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রে ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ঘরগুলো নিয়ে সরিয়ে ফেলেছেন।

প্রতিবেদক- আনোয়ারুল হক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ০০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply