রাজধানীর উত্তরায় গ্যাস পাইপ বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। দগ্ধদের প্রত্যেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিকেল ৫টার দিকে সালীন বিন নেয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বড় ছেলে সালিন বিন নেওয়াজের (১৫) মৃত্যুর এক ঘণ্টা পরই মারা গেছে তার ছোট ভাই জারান বিন নেওয়াজ (১৪ মাস)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তারা চিকিৎসাধীন ছিল।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, সালিন বিন নেওয়াজ নামের ওই কিশোরের শরীরের ৮৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শালীন উত্তরা রাজউক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের বড় সন্তানও সে।
প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সকালে সাড়ে ৬টার দিকে পশ্চিম উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির একটি ভবনের ৪র্থ তলার রান্নাঘরে লিকেজ হওয়া গ্যাসপাইপ বিস্ফোরিত হয়।
এতে ওই বাসার শাহনেওয়াজ (৫০), তার স্ত্রী সুমাইয়া (৪০), তাদের সন্তান শালিল ওরফে জাহিদ (১৫), জারিফ (১১) ও জারান (১৪) মারাত্মক দগ্ধ হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন মনিরুজ্জামান।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগুনে শাহনেওয়াজ ও সুমাইয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ, ছেলে জাহিদের ৮৮ শতাংশ এবং জারিফ ও জারানের ৭৪ শতাংশ করে পুড়ে গেছে। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০২:১৪ অপরাহ্ন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর