চাঁদপুরের মতলব উত্তরে উপজেলার দশানী এলাকার মেঘনা নদীতে এমভি টাইগার ইস্ট বেঙ্গল ৭ এর ধাক্কায় বাল্কহেড এমভি ডরিন ডুবে যায়। এতে
২ জন নিখোজ এবং ৪ জন আহত খবর পাওয়া গেছে ।
এতে নিলফামারি জেলার মোঃ ডালিম (৩০), পিতা আকবর আলী (বাবুল), বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মালেক (৪৫), পিতা সুর্ন্দ আলী হাওলাদার নামে বলগেট শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার(০৮ অক্টোবর) ভোরে মতলব উত্তর উপজেলার দশানী এলাকার মেঘনা নদীতে এমভি টাইগার ইস্ট বেঙ্গল- ৭ এর ধাক্কায় বাল্কহেড এমভি ডরিন ডুবে যাওয়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এমভি টাইগার ইস্ট বেঙ্গল ৭ ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে আর চাঁদপুর থেকে নদী পথে ঢাকাগামী এমভি ডরিন যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও এ ঘটনায় মোঃ বাবুল হোসেন (৪৫), ফারুক হোসেন (২২), হারন-অর-রশিদ (২৪) ও জয়নাল আবেদিন (৪৫) নামে চার জন সাতরিয়ে উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।
তবে এতে দু’জন বাল্কহেড শ্রমিক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, সহকারী কমিশনার ভুমি সুভাশিষ ঘোষ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন এবং উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব। এছাড়াও মতলব উত্তর নৌযান শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ চৌধুরী এবং উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছেন।
এ অভিযানে মতলব উত্তর থানা পুলিশ,নৌ-পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসহ নৌযান শ্রমিক সংগঠন উদ্ধার কাজ পরিচালনায় রয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও নিখোাঁজ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া বা উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, ‘সোমবার ভোরে মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, কলাকান্দা এলাকার মেঘনা নদীতে এমভি টাইগার ইস্ট বেঙ্গল ৭ এর ধাক্কায় বাল্কহেড এমভি ডরিন নামে বাল্কহেড ডুবে যায়। দূর্ঘটনায় এখনও ২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। যে বাল্কহেড ডুবে যায় সেটিতে মোট ৬ জন শ্রমিক ছিলো। তার মধ্যে ৪ জন প্রাণে বেঁচে আসতে পারলেও বাকী ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার বা সন্ধানে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সংবাদ পেয়ে স্পট পরিদর্শন আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে ফায়ার স্টেশন ও কোস্টগার্ড কে বলা হয়েছে। এ দিকে সোমবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল