যশোর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) যশোরের গুদাম থেকে ৩২০ মেট্রিক টন সার খোয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিএডিসির পাঁচটি গুদামে নিরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে। সোমবার এ রিপোর্ট রোববারই কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর।
তিনি জানান, খাদ্য গুদাম ছয় মাস পরপর নিরীক্ষা করা হলেও আট-নয় বছর ধরে বিএডিসির সার গুদাম নিরীক্ষা করা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব গুদাম যাচাইয়ে একটি টিম গঠন করেন তিনি।
তিনি বলেন, “এই টিম রোববার যশোরের গুদামগুলো ভেরিফিকেশন করে।
“ওই টিমের প্রধান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল আরিফ রোববারই আমাকে জানিয়েছেন- ৩২০ মেট্রিক টন এমওপি সারের হদিস মেলেনি।”
এ ঘটনা স্বীকার করে বিএডিসি যশোর অঞ্চলের যুগ্ম-পরিচালক রতন কুমার মণ্ডলও বলেন, “বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন টিমের সদস্য বিএডিসি নড়াইলের উপ-সহকারী পরিচালক রতন মিয়া।”
সার খোয়া যাওয়ার দায় কার জানতে চাইলে যুগ্ম-পরিচালক বলেন, “ভাণ্ডাররক্ষক আজগার আলীর কাছে গুদামের চাবি থাকে। তাকে লিখিতভাবে কৈফিয়ত তলব করা হবে।”
বিএডিসি-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাশিয়া ও কানাডা থেকে আমদানি করা খোয়া যাওয়া সার বিএডিসি ডিলারদের কাছে প্রতি টন ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেই হিসেবে খোয়া যাওয়া সারের সরকারি দাম ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজস ছাড়া এমন চুরির ঘটনা ঘটতে পারে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুন।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur