Home / ফিচার / ‘মেয়েরা বাপ সোহাগী, ছেলেরা মায়ের চোখের মনি’
Shariar-Palash.
ছবিতে : নুবিয়া তাসনিম ও তাঁর বাবা রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ। (ফাইল ছবি)

‘মেয়েরা বাপ সোহাগী, ছেলেরা মায়ের চোখের মনি’

বেশিরভাগ সময়ে ছেলেদের কে দেখা যায় মায়ের সাথে দারুন ভালবাসা কিন্তূ বাবার সাথে খানিকটা দূরে থাকার চেষ্টা। বোন কে দেখেছি আব্বু অফিস থেকে বাসায় ফিরলেই সে ‘একাই একশ’ ‘আমার মনে হয় এই রকম অনুভুতিটা বিধাতা কতৃক একটি নিয়ম। তার মানে এই নয় যে ছেলের প্রতি বাবার ভালবাসা কম আর মেয়ের প্রতি বাবার ভালাব্সা বেশি।

তবে কথা আছে ‘মেয়েরা বাপ সোহাগী, ছেলেরা মায়ের চোখের মনি’। এ বাক্য অবলম্বনে একটি গল্প বলি।

একদিন ১১ বছরের এক বালিকা তার বাবাকে বললো, বাবা! আমার ১৫তম জন্মদিনে আমাকে কি দিবে?
বাবা বললেন, এখনো তো অনেক সময় আছে। দেখা যাক! মেয়েটির ১৫তম জন্মদিনের কিছুদিন আগে হঠাৎ একদিন সে অসুস্থ হয়ে গেলো। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো…ডাক্ মেয়েটিকে পরীক্ষা করলো। ডাক্তার ওই বাবাকে বললো, আপনার মেয়ের হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়েছে। দ্রুত হার্ট পরিবর্তন না করলে তাকে বাচাঁনো যাবে না।

যখন বাবা মেয়েকে দেখতে গেলো। মেয়ে বাবা! আমি কি মারা যাবো? বাবা বললেন, না, তুমিশীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
মেয়ে:- তুমি কিভাবে জানো? ডাক্তার বলেছে আমার হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে। বাবা:- আমি জানি মা, তুমি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে। .

মেয়েটি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসারপর একসময় সুস্থ হয়ে বাসায় আসলো। এর মধ্যেই তার বয়স ১৫ বছর তথা ১৫তম জন্মদিনও চলে আসলো। জন্মদিনে বাবা তার মেয়ে একটি চিঠি পড়তে দিলো।

চিঠিতে বাবার লিখা, ‘প্রিয় মা আমার! তুমি যখন এ চিঠিটি পড়ছো তার অর্থ হলো সবকিছু ঠিকমতোই হয়েছে এবং তুমি সুস্থ আছো যেমনটি আমি বলেছিলাম।

মনে আছে? একদিন তুমি প্রশ্ন করেছিলে, তোমার ১৫তম জন্মদিনে আমি তোমাকে কি উপহার দিবো। তখন আমি জানতাম না কি দিবো…
কিন্তু যখন তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তখনই আমি বুঝলাম তোমাকে আমি কি দিতে পারি। তাই তোমার জন্যে আমার উপহার আমার একমাত্র হার্ট। আমি তোমাকে এর থেকে কম ভালোবাসি না।’

বিশেষজ্ঞদের মতে– “অভিভাবককে সব-ব্যাপারে অবশ্যই সহনশীল হতে হবে। সন্তানের খেলার সাথী হয়ে, সময় দিতে হবে। আজকাল স্মার্টফোন, ফেসবুক আর ইউটিউবের যুগে, সাপ-লুডু খেলা একদম উঠে গেছে। কিন্তু এসব খেলা বাচ্চাদের ধৈর্যশীল ও সহনশীল করে তোলে।

সন্তান যতই বড় হয়ে উঠুক না কেন, তারা সব সময় চায় তাদের জীবনে অভিভাবকের উপস্থিতি এবং একটু যত্নশীল আচরণ। আর ভালোবাসা ছাড়া তো কোন ভালো কাজ, ভালো সৃষ্টি সম্ভব নয়। তাই সর্বোপরি, সব সম্পর্কে যেন ভালবাসার জয়। বাবা মেয়ে সম্পর্কও মধুর করতে ভালোবাসার বিকল্প নেই।

লিখেছেন : দেলোয়ার হোসাইন

Leave a Reply