ঝুঁকি নিয়েই মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড নৌপথে সাধারণ যাত্রীর চাপ বাড়ছে।

১২ মে বুধবার ভোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা ট্রাক মাইক্রোবাসে করে বড়স্টেশন ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন।

চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরিঘাট দিয়ে খুলনা বরিশালসহ আসপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিদিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে।

এদিকে বড়স্টেশন মোলহেড থেকে একটি ট্রলারেও লাইফ জ্যাকেট ও বয়া ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। এছাড়া অনেক ট্রলারে ১৫-১৮ নেওয়ার কথা থাকলে ৪০-৫০ জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এভাবেই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করছে ট্রলারে করে নেওয়া হচ্ছে ঈদ ঘরমুখো মানুষকে।

চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডে  স্বপন মাঝি বলেন৷ স্টিল ট্রলার দিয়ে মূলত মোলহেডে পর্যটকদের জন্য ব্যবহার করা হতো। কিন্তু করোনা ও লকডাইনের কারনে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে ভিড় করছে। তার জন্য প্রশাসনের অনুমনি নিয়ে হরিণাঘাটে সাধারণ যাত্রী পৌঁছে দিচ্ছি।

আরেক ট্রালের  মাঝি মো. তাপাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা নিয়ম মেনে ট্রলার চালাচ্ছি। অতিরিক্ত কোন যাত্রী ট্রলারে উঠানো হয় না।

মোহনা স্টিলবডি সমিতির সভাপতি দেলু মোল্লা বলেন, বড়স্টেশন মোলহেডে ৭২ টি স্টিলবডি নৌকা চলে। প্রত্যেক ট্রালারর ১৫ লাইফ জ্যাকেট, ৫টি রিং বয়া রয়েছে। প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতি নৌকায় ১৮ জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যাত্রী উঠলে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বড়স্টেশন মোলহেডে বরিশাল গামী যাত্রী রাসেল বলেন, আমি ভোরবেলা চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। অনেক কষ্টে গাড়ি দিয়ে ভেঙে বেঙে চাঁদপুরে এসেছি। বিকেল হয়ে গেছে এখনো চাঁদপুর রয়েছি। 

শরিয়তপুরের আরেক যাত্রী সামাদ হোসেন বলেন, ভোবেলা ঢাকা থেকে ট্রাকে করে চাঁদপুর আসলাম। অতিরিক্ত টাকা খরচ হলেও মা বাবার সাথে ঈদ করার জন্য বাড়িতে যাচ্ছি। আশা থেকে শুরু করে পদে পদে হয়রানি হচ্ছি। টাকা দিলেই সকল সুযোগ সুবিধা মিলে।

চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে নৌ পুলিশ নদীতে টহল দিচ্ছে। আমার অনেক নৌকা এখান থেকে ফিরিয়ে দিয়েছি। যতটা সম্ভব আমরা ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করছি। লাইফ জ্যাকেট, বয়া আছে কিনা দেখা হচ্ছে।

প্রতিবেদকঃ শরীফুল ইসলাম 

Share