Monday, 26 April, 2015 03:33:08 PM
বিএম ইসমাইল:
হাইমচর উপজেলায় মেঘনার অভয়াশ্রমে অবৈধভাবে চিংড়ির রেনু নিধনের চলছে মহোৎসব। পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ চিংড়ির রেনু এবং বিলুপ্ত হচ্ছে নানান প্রজাতীর মাছে ।
যার ফলে হাইমচর মেঘনায় নদীতে একসময় দেখা দিবে চিংড়ির শূন্যতা, সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রপ্তানি আয়। সরেজমিনে দেখা যায় হাইমচরের চরভৈরবীর আমতলী, নতুন হাইমচর বাজার, চরভৈরবী মাছ ঘাট, খোসাইর মোড় এলাকায় মেঘনায় নদীতে কিছু অসাধু চিংড়ির রেনুর ব্যবসায়ীরা প্রলোভনে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় জাল নিয়ে চিংড়ির রেনুর নিধনের উঠে পড়ে লেগেছে।
চিংড়ির রেনুর পাশাপাশি নানান প্রজাতের মাছের রেনু ধ্বংস করা হচ্ছে। হাইমচরের চরভৈরবীর থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়িরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতিটি রেনু ৩টাকা দরে ক্রয় করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ চিংড়ি রেনু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের পাচার করে যাচ্ছে।
জানা যায়, হাইমচরে চিংড়ি রেনুর ব্যবসায়ি সাথে জড়িত রেনু পাচারের সিন্ডিকেটের প্রধান চরভৈরবীর মাছ ঘাট এলাকার লিটন চোকদার, লোকম্না মাষ্টার, ফারুক হাওলাদার, ফরিদ হাওলার, মনির হাওলাদার, কালা মনির, আট বাচ্ছু , বুলবল মাল, আনিস সরকার, আল আমিন সর্দার, সাহেদ লিটন মোল্লা, মেঘনা বাজারের কুদ্দুস মিয়া, আমতলীর শিশু পাজাল, বাচ্চু মাতাবর, আবু তাহের মাঝি, দেলোয়ার গাজীসহ আরো অনেকে চিংড়ি রেনু সাথে জড়িত রয়েছে।
এ বিষয়ে রেনু ব্যবসায় সাথে জড়িত শিশু পাজাল জানান আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ রেনু ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমরা সাধারন জেলেদের কাছ থেকে প্রতিটি ৩টাকা দরে ক্রয় করে ৬ টাকা দরে বড় পাইকারের কাছে বিক্রয় করি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব আলী জানান অভিযানের সময় যে কোন মাছ ধরা বেআইনী। এর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/2015