Monday, 04 May, 2015 1:19:49 AM
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সির হাটে দোকান নির্মান করাকে কেন্দ্র করে দু‘গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কম পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্থানিয় দু গ্রুফের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো
আঃ আউয়াল, জীবনী, আবুল হাসেম, দেলোয়ার হোসেন, আছমা আক্তার, করিমজান ও অজ্ঞাত সহ কমপক্ষে মোট ১০ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে স্থানিয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়েছে।
আহতদের সুত্রে জানাযায়, সদর উপজেলার মুন্সির হাট বাজারের পশ্চিম পাশে ব্রীজের গোড়ায় নিজেদের জমিতে গত কয়েকমাস পুর্বে হাওলাদার বাড়ীর আউয়াল দোকান নির্মান করতে যায়। কিন্তু বাড়ীতে সম্পত্তি পাবে বলে দেলোয়ার হোসেন গংরা তাদেরকে দোকান নির্মান করতে বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পৃথক মামলা হয়।
এরপর আউয়াল তার সম্পত্তির সকল কাগজপত্র আদালতে জমা প্রদান করলে আদালত আউআয়ালকে দোকান নির্মান করা জন্য রায় দেয়। কিন্তু গতকাল সকালে আুয়াল দোকান নির্মান করতে গেলে দেলোয়ার হোসেন তার মেয়ে ও ছেলে সহ স্থানীয় মুন্না, খলিল, বাসু, আমিন আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে দলবল নিয়ে সন্ত্রাসি কায়দায় দোকানের কাজের মালামাল ফেলে দেয়।
এ সময় নির্মানাধিন দোকানের মালিক মুন্সির হাট কলেজের শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তাদেরকে বাঁধা দিতে এলে হামলাকারিরা তাকে আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে। খবর পেয়ে স্বামিকে বাঁচাতে স্ত্রী জীবনী ও ভাই আবুল হাসেম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসিরা তাদেরকেও প্রচন্ড মারধর করে।
এসময় হামলাকারীরা হামলা চালানোর সময় দেলোয়ার হোসেন ও আছমা নামে একজন আহত হয়।
স্থানীয় সুত্র থেকে আরো জানা যায়, হাওলাদার বাড়ীতে নিজেদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মতবিরোধ চলে আসছিলো। সেই মতবিরোধের জের ধরে আওয়াল দোকান নির্মাণ করতে গেলে বিবাদীরা পুর্বেও আরো কয়েকদফা নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত ুিশক্ষক আউয়াল অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে উক্ত ঘটনার জের ধরে ওই এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/২০১৫