Home / সারাদেশ / মাস্ক ব্যবহারে অনিহা, বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি
মাস্ক ব্যবহারে

মাস্ক ব্যবহারে অনিহা, বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও এখন আর তা কেউ মানছে না। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে মাস্ক ব্যবহারে অনিহা দেখা দিয়েছে।

ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

সামনে শীত আসছে। এই শীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা। সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরার্মশ দিচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। কিন্তু এ পরার্মশকে উড়িয়ে দিয়ে যে যার তম করে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাফেরা করছে। মাঝে মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে পারছেন না জনগণকে। মাস্ক ব্যবহার না করাটা একটা ক্ষমতা মনে করছে সাধারণ মানুষ আর এ কারণেই অনেকে মাস্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর এলাকায় প্রশাসনিকভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেও মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহী করা যাচ্ছে না। পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে গণপরিবহনগুলোতে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার এখন নেই বল্লেই চলে। যে যার মতো করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে। মাস্ক ব্যবহার করাটা একটা দুর্বলতা মনে করে অনেকেই অনিহা প্রকাশ করছেন। সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি এবং তাদের দেখলে হুরু-হুর করে মাস্ক ব্যবহার করছে সাধারণ মানুষ। সামাজিক কিংবা মানসিকভাবে সচেতন না হলে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করাটা দুর্বিসহ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যবিভাগ।

গরম লাগায় মাস্ক ব্যবহার করতে ভালো লাগে না। মানুষ জন বেশি থাকলে তখন মাস্ক ব্যবহার করি। এখন করোনা ভাইরাস আমাগো গাউ গ্যারামের মানুষগো হইবো না, এটা বড় লোক-গো অসুখ।

এক চায়ের দোকানদার বলেন, করি চায়ের দোকান, এমনিতেই সব সময় থাকি আগুনের পাড়ে আবার প্রচুর গরম তাই মাস্ক পড়ি না তবে দোকানে মাস্ক ঝুলানো আছে। কোনো সময় ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আসলে তখন মাস্ক পড়ি।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করছি, কিন্তু সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহারের সুফলের বিষয়টা হয়তো বুঝতে পারছে না। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করছি তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রথমে নিজেকে সচেতন হতে হবে। তবেই না এ করোনা ভাইরাস থেকে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো।

বার্তাকক্ষ, ২৭ সেপ্টেম্বর,২০২০;