Home / সারাদেশ / মার্চের মধ্যে বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ের নির্দেশ
Gas

মার্চের মধ্যে বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ের নির্দেশ

মার্চের মধ্যে সব বকেয়া গ্যাস বিল আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও এর আগে এ ধরনের কয়েক দফা নির্দেশনা খুব একটা কাজে আসেনি।

জ্বালানি বিভাগ ওই নির্দেশনায় বলছে, বকেয়া রয়েছে এমন গ্রাহককে বিলের জন্য নোটিশ দিতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পরও বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। দেশের সব চাইতে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের বকেয়া জমেছে সাত হাজার কোটি টাকা।

গত ২৮ ডিসেম্বর জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত একটি বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে ক্রাশ প্রোগ্রাম গঠনের মাধ্যমে আগামী মার্চের মধ্যে সমস্ত বকেয়া বিল আদায় করতে হবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, এলএনজি আমদানিতে সরকারের বড় ধরনের ভর্তুকি প্রয়োজন। এলএনজির পরবর্তী কার্গো আমদানির জন্য এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। জ্বালানি বিভাগ থেকে এজন্য অর্থ বিভাগের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও এখন অর্থ পাওয়া যায়নি।

জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এলএনজি আমদানিতে এখন তীব্র অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। সঙ্গত কারণে এখন বকেয়া বিল আদায় করার বিষয়ে সব চাইতে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বকেয়া বিল আদায় করা সম্ভব না হলে এলএনজি আমদানির অর্থর সংস্থান করা কঠিন হবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, করোনার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো গ্যাস বিল পরিশোধ করেনি। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ বিল জমে গেছে। একসঙ্গে তারা এই বিল পরিশোধ করতেও পারছে না। ফলে একটি সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ঠিক মতো গ্যাস বিল পরিশোধ তো করেই না উল্টো নানা ধরনের প্রভাব দেখায়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিতাসের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, অনেক ব্যবসায়ী কোভিডের কারণে ব্যবসা মন্দা দেখিয়ে গ্যাস বিল পরিশোধ করছে না। কিন্তু একটি বিষয় সকলকে মাথায় রাখতে হবে আমরা কিন্তু গ্যাসের বিল অগ্রিম নিচ্ছি না। গ্যাস ব্যবহার করার পর নেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীর ফ্যাক্টরি চলেছে বলেই তার বিল দিতে হচ্ছে। যদি ফ্যাক্টরি না চলতো তাহলে তো গ্যাসের বিল আসতো না।

সূত্রগুলো বলছে, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকলে পেট্রোবাংলাকে বিল পরিশোধ করতে পারে না গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। ফলে পেট্রোবাংলা বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি এবং এলএনজির জন্য বিল পরিশোধ করতে পারে না। এতে করে বিলম্ব পরিশোধ করতে হলে পেট্রোবাংলাকে জরিমানা দিতে হয়।

জানতে চাইলে তিতাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, এলএনজি আমদানি শুরুর পর থেকে আমাদের একটু একটু করে আর্থিক ঘাটতি শুরু হয়েছে। এফডিআর ভাঙিয়েও আমরা বিল পরিশোধ করেছি। গ্রাহক ঠিক মতো বিল পরিশোধ না করছে না। আবার পেট্রোবাংলাকে নির্ধারিত সময়ে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে এতে বিতরণ কোম্পানিগুলো একটি আর্থিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়েছে। ঠিক মতো বিল আদায় না করা যায় বা সরকার বড় রকমের ভর্তুকি না দেয় অথবা মূল্য সমন্বয় না করলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।