ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রথম হামলার এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। বুধবার দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।(খবর জাগো নিউজ,রয়টার্স, তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি, এএফপি।)
এতে বলা হয়েছে, ইরাকে মার্কিন সামিরক ঘাঁটিতে দ্বিতীয় ধাপে হামলা শুরু করেছে ইরান। তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, প্রথম হামলা চালানোর এক ঘণ্টা পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, বুধবার সকালের দিকে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকির মাঝে এই হামলা চালিয়েছে তেহরান।
পেন্টাগন বলছে,ইরাকে মার্কিন সামরিক ও মিত্র বাহিনীর ওপর এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা পরিষ্কার যে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ছোড়া হয়েছে। ইরাকে আল-আসাদ ও ইরবিল সামরিক ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হেনেছে। তবে হামলায় মার্কিন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি-না তা জানা যায়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিশোধমূলক এই হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো আরও ভয়াবহভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশি সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ইরানি শীর্ষ এই সেনা জেনারেল হত্যাকাণ্ড ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে যুদ্ধের দামামা। এর মাঝেই বুধবার ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আক্রান্ত হলো।
বার্তা কক্ষ,৮ জানুয়ারি ২০২০