হাজীগঞ্জে তিন লাখ টাকার প্রতারণার মামলা 

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে  তিন লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করা হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের ভাউড়া ভূইয়া বাড়ির মৃত. বাসু ভূঁইয়ার বড় ছেলে মো. কাইয়ুম হোসেন (৩৫) গংদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় রিনা বেগম বাদী হয়ে এ তিন লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ করে। 

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাউড়া ভূঁইয়া বাড়ির আব্দুল হান্নান তার আপন বড় ভাই বাসু ভূঁইয়ার কাছ থেকে ২০১৫ সালে তিন শতাংশ জায়গা তিন লক্ষ টাকা দরে ক্রয় করে। এরই মাঝে বড় ভাই বাসু ভূঁইয়া ইন্তেকাল করে। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে ছোট ভাই আব্দুল হান্নান ভাতিজা কাইয়ুম হোসেন গংদের কাছে বিভিন্ন ভাবে ধন্না দিয়েও জায়গা রেজি: করতে পারেনি। 

২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভাতিজাদের হাতে পায়ে ধরেও জায়গাটুকু রেজি: করতে পারেননি আবদুল হান্নান। উক্ত জায়গার টাকার শোক ও শারীরিক অসুস্থতায় তিনি দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। আবদুল হান্নানের মৃত্যুর পর একের পর এক তার অসহায় অবুজ সন্তান্দের উপর নেমে আসে কালবৈশাখী ঝড়। 

কাইয়ুম হোসেন গং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে কোন তোয়াক্কা না করায় এবং দরবার সালিশ না মানায়। জায়গা রেজিস্ট্রি দিতে বললে তারা দিবেনা বলে হুমকি- ধমকি ও মেরে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। মৃত. আব্দুল হান্নানের স্ত্রী রিনা বেগম বাদী নিরুপায় হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে।

এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুহিলপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজল বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বহুবার বসেছি তবে কাইয়ুমরা না মানায় বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন শালিশী বৈঠকের লোক জানান, এই বিষয়টা আরো আগে সমাধান হয়ে যেত যদি কাইয়ুমরা আমাদেরকে মান্থ। 

জায়গা ক্রয় করার টাকা লেনদেন হয় একই বাড়ীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ ইউনিয়নের চিলাচোঁ প্রধানীয়া বাড়ির মো. বাবুল হোসেনের ছেলে মো. সাকিব হোসেন এর হাতের উপর দিয়ে।

তারা বলেন, আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর টাকা লেনদেন করেছি। কোন কাগজপত্র করিনি। তার কারণ তারা উভয়ে ভাই ভাই এজন্য। অথচ কাইয়ুমরা আমাদের সম্মানের কথা চিন্তা করে নি। 

কাইয়ুমের মা আমেনা বেগম ও তার ছোট ভাই নাঈম হোসেনের কাছে জায়গা ও টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা জায়গা অথবা টাকা ফেরত দিয়ে দিব। আর কোন জামেলা রাখতে চাইনা। কাইয়ুমের খামখেয়ালীর কারণে আজ আমাদের বাড়ীতে সাংবাদিক, পুলিশ আইছে এবং পুলিশ আমাদের উভয়কে থানায় জাইতে বলছে।

হাজীগঞ্জ থানার এস আই মোহাম্মদ মাসুদ মুন্সী বলেন, আমি এই বিষয়ে এলাকায় গিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে উভয়পক্ষকে আগামি ২৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় থানায় আসতে বলেছি। টাকা নেওয়া দেওয়া এবং জায়গা বিক্রয় কথা এলাকাবাসী ও তারা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। যদি তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে বিষয়টি মীমাংসা করতে চেষ্টা করব।

স্টাফ করেসপন্ডেট

Share