Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / ‘মামলা থেকে বাঁচানোর জন্যে পাগলের ভাণ’
মামলা থেকে বাঁচানোর জন্যে পাগলের ভাণ
বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আটক জাকির তালুকদার

‘মামলা থেকে বাঁচানোর জন্যে পাগলের ভাণ’

হাইমচরে বৃদ্ধ খুন : ঘাতক আটক

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিমচর কৃষ্ণপুর গ্রামের আহাসান উল্লাহ তালুকদারের ছেলে জাকির তালুকদারের হাতে লাঠির আঘাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সোনা মিয়া হাওলাদার (৬৫) নিহত হয়েছে। ঘাতক জাকিরকে আটক করে থানা পুলিশ। নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মেয়ে আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর সকালে সোনা মিয়া হাওলাদার তেলিরমোড় নদীর পাড়ে গোসল করে বাড়ি ফেরার পথে আহসান উল্লাহ তালুকদারের ছেলে জাকির তালুকদার লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন সোনামিয়া হাওলাদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা গুরুতর দেখে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকেও রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থার ক্রমাবনতি হয়ে অবশেষে ২৫ অক্টোবর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এলাকাবাসী জানায়, আহসান উল্লাহ তালুকদারের ছোট ছেলে জাকির মিয়া নারায়ণগঞ্জে মুদি দোকান চালাতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন না যেতেই তার প্রেমিকার অন্য জায়গায়বিয়ে হয়ে যায়। জাকির প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশে ফিরে এসে শুরু করে পাগলামী। পথেঘাটে ছেলে মেয়ে কিংবা বৃদ্ধ শিশুকে হাতের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন বৃদ্ধের উপর সে হামলা চালায়।

অপরদিকে ছেলেকে বাঁচানোর জন্যে পিতা আহসান উল্লাহ তালুকদার ঘরের চকির সাথে ছেলেকে বেঁধে পাগলের অভিনয় করে আসছিলেন।

এ ভাবেই কেটে যায় ঘটনার ৬দিন। প্রাণ হারাতে হয় বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারের। সোনামিয়া হাওলাদারের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর ঘাতক জাকির ও তার বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ঘাতকের পিতা আহসান উল্লাহ তালুকদার জানান, দেখছেন না আমার ছেলেকে তালা মেরে রেখেছি। পাগল না হলে কি কেউ কাউকে বেঁধে রাখে। তার পাগলামির কারণে বৃদ্ধ হাসপাতালে মরতে বসেছে। আমার ছেলেকেও তারা মেরে আহত করেছে, তারাতো কেউ আমার ছেলেকে দেখতে আসে নাই। আমরা কেন তাদেরকে দেখতে যাবো। পাগলের আঘাতে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে আমাদের তাতে কিছু করার নাই।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জাফর জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কোটে প্রেরণ করলে বাকিটুকু আদালত বুঝবে।

বিএম ইসমমাইল

|| আপডেট: ০৯:১১ পিএম,২৫ অক্টোবর ২০১৫, রোববার

 এমআরআর