Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মাদ্রাসা

ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরীয়া ওল্ডস্কিম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশারের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ওই ছাত্রীর ভাই আরমান হোসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের কোরআন বিষয় নিতে গিয়ে ক্লাশ রুমেই ওই শিক্ষার্থীকে শাসনের চলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এরপর গতকাল রবিবার ও বিভিন্ন ভাবে তাকে শ্লীলতাহানির করার চেষ্ঠা করে এ সময় ওই ছাত্রী সুপারের হাত থেকে নিস্তার পেতে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সুপার ওই ছাত্রীর দিকে ধেয়ে আসে এবং তাকে বেদম মারধর করে।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় আমি মাদ্রাসায় আসি। কোরআন বিষয়ের ক্লাস নেওয়ার জন্য মাদ্রাসার বড় হুজুর ক্লাসে আসে। এ সময় পড়া নেওয়ার সময় হুজুর আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়, আমি সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি আমার দিকে ধেয়ে আসে এবং মারধর করে। তিনি আমার পিথে চাপ দিয়ে ধরে রাখে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

মাদ্রাসার অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেনীর ছাত্রীদের সাথেও তিনি একই আচরন করেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, তিনি বিভিন্ন সময় সুযোগ ফেলেই ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরন করেন।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভাই আরমান হোসেন জানান, সুপার এ সব আচরনের বিষয়ে আমার ছোট বোন মাকে অবহিত করে। মা আমাকে বিষয়টি জানালে আমি এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত সুপার আবুল বাসারকে মাদ্রাসায় না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি বাড়িতে আছি। পরে বক্তব্যের জন্য তার বাড়ি বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সেকদী এলাকায় গেলেও তিনি ফোন রিচিব করেন নাই এবং তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনলেও ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভাই একটি লিখিত অভিযোগ করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩