মধ্যপ্রাচ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পটভূমি

ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন সরকারিভাবে বিশ্বে (১৯৪৭-২০২৩) পর্যন্ত ৭৬ বছর ধরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নামে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নির্বাসনে ঘোষিত একটি রাষ্ট্র যা ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পি এল ও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ একপাক্ষিকভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন-মুসলীম বিশে^র আবিসংাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত। যিনি বিশে^র মানচিত্রে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।

১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলও’র নিয়ন্ত্রণ ছিল না যদিও তারা যে অঞ্চলগুলো দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলো ইসরাইলের দখলে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল -সেখানে ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ড (গাজা ভূখণ্ড ও পশ্চিম তীর) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধীন কিছু অঞ্চল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসাবে দাবি করে।

১৯৭৪ আরব লীগ শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত আহবান জানিয়েছিল। ২২ নভেম্বর ১৯৭৪ থেকে একটি জাতি হিসেবে পি.এল.ও কে ” রাষ্ট্রহীন-সত্ত্বা ” রূপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জাতিসংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন কিন্তু ভোট দেবার কোনো ক্ষমতা ছিল না। জাতিসংঘের ১৩৮টি সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এর রাজধানী হবে জেরুসালেম। মাহমুদ আব্বাস হলেন ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে – ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পর্যবেক্ষক রেজুলেশন ২৯ নভেম্বর ২০১২। এর দ’ুটো ভাগ। একটি হলো – গাজা ভূ-খন্ড বা উপত্যকা আর অপরটি হলো পশ্চিম তীর। ছোট-বড় ১৬ প্রদেশ নিয়ে এটি গঠিত। আয়তন ৬,০২০ বর্গ কি.মি.। এর মধ্যে পশ্চিম তীরের আয়তন ৫,৬৫৫ কি.মি এবং গাজা ভূ-খণ্ডের আয়তন ৩৬৫ কি.মি.। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান মতে – দুটোর মোট জনসংখ্যা ৫১ লাখ ৫৯ হাজার।

জনসংখ্যা : ফিলিস্তিনের প্রদেশসমূহ হল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দু’ টি ভূখণ্ডে অবস্থিত এলাকার প্রশাসনিক বিভাগ। গাজা উপত্যকা প্রদেশ সমূহ : উত্তর গাজা,গাজা, দইর, আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহ। লোকসংখ্যা-৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৬শ ৪৬ জন। পশ্চিমতীরের প্রদেশসমূহ : কালকিলিয়া, জনিন ও জরিকো। জেরুজালেম গভর্নর ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ ৭ প্রদেশসমুহ : তুবাস,তুলকার্ম, নাবলুস, বথলেহেম, রামাল্লাহ ও আল-বিরেহ, সালফিত। লোক সংখ্যা : ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ১শ ৭ জন ও আয়তন : ৫,৬৭১ বর্গ কি.মি.। এক সময় ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০, ৪২৯ বর্গ কি.মি.ব্যাপি ফিলিস্তিন দেশটি ছিল ‘ উসমানীয় খেলাফতের অধীন’।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৯১৪-’১৯ সালে যারা ছিল ব্রিটেন-বিরোধী জোটে। তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ লর্ড বেলফোর’ যুদ্ধে জয়ী হলে এ ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন। যা ইতিহাসে ” বেলফোর ঘোষণা ” হিসেবে পরিচিত। যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলে আরবীয়রা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই ধরে নেয় স্থানীয় আরবীয়রা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান। ফলে আনন্দিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কী ধরনের পুরস্কার তিনি চান এর বিপরীতে। উত্তর ছিল- ‘ অর্থ নয়, আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন।’ ফলে ফিলিস্তিন ভূ-খণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় ব্রিটেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর দেশটিকে বৃটিশরা নিজেদের অধীন রাখে। মূলত : এ সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব-শূন্য করার জন্য কাজে লাগায় ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি।

১৯২০ সালে জাতিপুঞ্জ ঘোষণার মাধ্যমে ব্রিটিশরা ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠা করে। ব্রিটিশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে জড়ো হতে থাকে- যাকে‘ আলিয়াহ’ বলা হয়। অত:পর ব্রিটিশ সরকার একদিকে ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিন উন্মুক্ত করে দেয় অন্যদিকে ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় ইহুদি মিলিশিয়ারা বা আধা-সামরিক বাহিনী সদৃশ ফিলিস্তিনদের বিতাড়িত করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য গড়ে তুলতে থাকে। তার মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ, ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং – যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে ফিলিস্তিনদেরকে বাধ্য করে ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যেতে।

সংগঠনগুলোর গণহত্যার কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত হচ্ছিল তখন পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন ‘হাগানাহ’ বেছে নেয়। আত্মহনন পন্থায় ১৯৪০ সালে ‘ এসএস প্যাট্রিয়া ’ নামক একটি জাহাজকে ‘হাইফা ’ বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২শ ৭৬ জন ইহুদিকে হত্যা করে। যার কাল্পনিক দোষ চাপানো হয় ফিলিস্তিনদের উপর।

১৯৪২ সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে দিয়ে ৭শ ৬৯ জন ইহুদিকে হত্যা করে। উভয় জাহাজে করে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আসছিল আর ব্রিটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ দ’ুটিকে ফিলিস্তিনের বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না। ‘হাগানাহ ’ এভাবে ইহুদিদের হত্যা করে বিশ্ব জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করে। পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন ও আরবদের উচ্ছেদকরণ চলতে থাকে খুব দ্রুত। এর ফলে ২০ লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত ইহুদির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৪০ হাজার । এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন চাপে জাতিসংঘে একটি ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে ৩৩টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোট দেয় আর ১৩টি বিপক্ষে এবং ১০টি ভোট প্রদানে বিরত থাকে।

প্রস্তাব অনুযায়ী- মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনীরা পেল ৪৩% । তবে প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম সীমানা ছিল অনির্ধারিত। ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা যেন সীমানা বাড়াতে পারে- এভাবে ইহুদিদের কাংক্ষ্তি ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হয়ে পড়ে। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা স্বরূপ : ফিলিস্তিন অঞ্চলের কার্যত : মালিকানা লাভের পর ইহুদি বসতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুৎ লাইন কাটা, বাড়ি-ঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতনের মতো কাজে জড়িয়ে পড়লো স্থানীয় ও বহিরাগত ইহুদি ও সরকারের মদদপুষ্ট সেনাবাহিনী। এর ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আরব দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২ টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করে ইহুদিরা। যাদের প্রধান ছিলেন ‘ দাভিদ বেন গুরিয়ন’। এরপর ১০ মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অত:পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ব্রিটেন স্বীকৃতি দেয়। এর ফলেই ইসরায়েল নামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পায়। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিকৃত এলাকাগুলো দক্ষিণ লেভান্তে অবস্থিত।

গাজা স্ট্রিপ পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে মিশর এবং উত্তর ও পূর্বে ইসরাইল। পশ্চিম তীর পূর্বে জর্ডান, উত্তর-দক্ষিণ এবং পশ্চিমে ইসরাইল। এ ভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিকৃত এলাকা গঠনকারী দ’ুটি ছিটমহল ইসরায়েল দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়। এতে একে অপরের সাথে কোনো ভৌগলিক সীমানা করা হয় নি। এ অঞ্চলগুলো স্থলভাগের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৬৩তম দেশ গঠন করবে। ফিলিস্তিনের বেশ কিছু পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে- গাজা স্ট্রিপের সম্মুখীন সমস্যাগুলোর মধ্যে মরুকরণ অন্তর্ভুক্ত, মিঠা পানির লবণাক্তকরণ, নিকাশী চিকিৎসা, পানিবাহিত রোগ, মাটির অবক্ষয়, ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদের অবক্ষয় ও দূষণ।

পশ্চিম তীরে- একই সমস্যাগুলোর অনেকগুলো প্রযোজ্য। যদিও মিঠা পানি অনেক বেশি চলমান বিরোধের কারণে প্রবেশাধিকার সীমিত। এ অঞ্চলে তিনটি পার্থিব ইকোরিজিয়ন পাওয়া যায়। এ গুলো হলো – পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় শঙ্কু-স্ক্লেরোফিলাস-বিস্তৃত পাতার বন, আরব মরুভূমি এবং মেসোপটেমিয়ার ঝোপ মরুভূমি। ফিলিস্তিনে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। পশ্চিম তীরের জলবায়ু বেশিরভাগই ভূমধ্যসাগরীয়, উপকূলরেখার তুলনায় উঁচু এলাকায় সামান্য শীতল ও পশ্চিমে অঞ্চল। পূর্বে-পশ্চিম তীরে শুষ্ক এবং গরম জলবায়ু দ্বারা চিহ্নিত মৃত সাগরের পশ্চিম উপকূলরেখাসহ জুডিয়ান মরুভূমির বেশিরভাগ অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গাজার একটি গরম আধা-শুষ্ক জলবায়ু রয়েছে যা মৃদু শীত এবং শুষ্ক গরম গ্রীষ্মের সাথে সম্পৃক্ত। শীতলতম মাস হল জানুয়ারি। তখন তাপমাত্রা সাধারণত : ৭ ডিগ্রি অবস্থান করে। বৃষ্টি কম হয় এবং সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে পড়ে। তবে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের হার ৪.৫৭ ইঞ্চি বা ১১৬ মি.মি।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কর্তৃক দাবিকৃত অঞ্চলের পর্যটন বলতে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার পর্যটনকে বোঝায়। বেশিরভাগ পর্যটক মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য বা একদিনের ভ্রমণের অংশ হিসাবে আসেন। ২০১২ এর শেষ প্রান্তিকে ১ লাখ ৫০ হাজার এরও বেশি অতিথি পশ্চিম তীরের হোটেলগুলোতে অবস্থান নেয়। ২০১৩ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পর্যটন মন্ত্রী রুলা মায়া বলেছেন, ‘ যে তার সরকার ফিলিস্তিনে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য রাখে কিন্তু পেশাটি হল- ফিলিস্তিনিদের প্রধান আয়ের উৎস হতে পর্যটন খাতকে বাধা দেয়ার প্রধান কারণ।’

ফিলিস্তিনি পরিবারের ৮০% তাদের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রায় এক তৃতীয়াংশের একটি করে কম্পিউটার রয়েছে। জনসংখ্যার ৩০% তীব্র বেকারত্বের শিকার। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা তীব্র পানির ঘাটতি দ্বারা চিহ্নিত এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্ব দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত।

ফিলিস্তিনের জলসম্পদ সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির বিভাজন অসলোও অ্যাকর্ডের বিধান সাপেক্ষে। সাধারণত: পশ্চিম তীরের তুলনায় গাজা উপত্যকায় পানির গুণমান খুবই খারাপ। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বিতরণ করা পানির প্রায় এক তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক বিতরণ নেটওয়ার্কে হারিয়ে গেছে।

গাজা উপত্যকার দীর্ঘস্থায়ী অবরোধ এবং গাজা যুদ্ধ গাজা উপত্যকার অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি করেছে। বর্জ্য পানির বিষয়ে, বিদ্যমান শোধনাগারগুলোর সমস্ত উৎপাদিত বর্জ্য পানি শোধন করার ক্ষমতা নেই। যা মারাত্মক পানি দূষণ ঘটায়। (চলবে)

তথ্য সূত্র : বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত। বর্তমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ পাঠকদের জন্যে পরিবেশিত। সম্পাদনা : আবদুল গনি ,শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যমকর্মী, চাঁদপুর। নভেম্বর ৭, ২০২৩।

Share