চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম প্রধান (৪০) “বন্দুকযুদ্ধে” আইনশৃংখলা বাহিনীর (পুলিশের) গুলিতে নিহত হয়েছে । এসময় তার কাছ থেকে মাদকসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। নিহত সেলিম প্রধান উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের উপাদী গ্রামের সালামত প্রধানীয়ার ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্ভরযোগ্য গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২৬ মে) গভীর রাতে মতলব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শীলমন্দী জামে মসজিদের নিকট থেকে সেলিম প্রধানকে ১১০ পিছ ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে সেলিমকে থানায় নিয়ে আসার পথে শীলমন্দি বালুর মাঠ এলাকায় পূর্বথেকে ওৎ পেথে থাকা সেলিমের সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে সেলিম পালিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই সেলিম নিহত হয়। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে । আহত পুলিশরা হলো উপ-পরিদর্শক (এসআই) চৌধুরী আলম, নজরুল, ওয়াহিদ ও কনষ্টেবল ছোটন। আহতরা বর্তমানে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এদিকে মাদক ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের লাশের পাশে ৬ রাউন্ড কার্টুস, ৪ রাউন্ড গুলি, ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, চাঁদপুর সদরের মতলব সার্কেল রাজন কুমার দাস, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) মো. ইব্রাহীম খলিল।
এদিকে মতলব দক্ষিণে মাদক সেবনকারি, বিক্রেতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয়কারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন। ওইসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাধর হউক তাকে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
দেশ ব্যাপী মাদক নির্মূলে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলাকালে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি (ওসি) একথা বলেন।
ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাজাসহ সব ধরনের মাদক কারবারি নির্মূলে যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার আইনশৃংখলা বাহিনী তাই করবে। গত এক সপ্তাহে ওসি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের নেতৃত্বে থানার সকল অফিসারদের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে আটক হয় কমপক্ষে ১০ জন এবং উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান মাদক। আটককৃতরা হচ্ছে মোঃ কাউছার, নূরে আলম ও জহির মিজি, মোঃ শফিকুল ইসলাম সাগর, বশির, মোঃ জহির হোসেন, রাবেয়া আক্তার, শাহাদাত ও কামরুল, আবুল হোসেন পাঠান এবং আজিজুল হক। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে এবং প্রত্যেককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অব্যাহত অভিযানে ছোট বড় সকল মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া এসকল অপরাধ কর্মকান্ডের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যাদের নাম আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে এসেছে তারাও গাঁ ঢাকা দিয়েছে এবং কেউ কেউ শতর্ক হয়ে গেছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক