Tuesday, July 21, 2015 5:21:12 AM
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মতলব (চাঁদপুর) :
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী ও ধনারপাড় এলাকায় পৃথক হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। আহতরা মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একাধিক অভিযোগও হয়েছে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পৈলপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী মিয়াজীর ছেলে মো: নুরে আলম (২৩) গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় ধনারপাড় গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে একই এলাকার মোঃ কামালের ছেলে সজিব ও সহপাঠী জিসানসহ ১০/১৫জন অজ্ঞাত যুবক ধনারপাড়-খাদেরগাঁও রোডের কালভার্টের নিকট গতিরোধ করে এবং তাকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারী মারধর করে।
এ সময় নূরে আলমের সাথে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী রিয়াদ ও কাউছার ভয়ে পালিয়ে গিয়ে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত নূরে আলম জানায়, তার সাথে থাকা ১টি মূল্যবান মোবাইল সেট ও নগদ ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে এ হামলা করেছে এ ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলতে পারেনি।
এ হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শাহআলম বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান ও বেশ কয়েকজনকে আসামী করে তানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে একই উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লেদু ফকির বাড়ীতে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে গুরুতর আহত ৪জনকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লেদু ফকির বাড়ীর সেলিম ও ফকির টিপুর ভাগ্নিকে পাশের বাড়ীর আমান উল্যাহ ফরাজীর ছেলে আল আমিন ফরাজী মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে সেলিম ফকিরের স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৪), তার বোন শিল্পী বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হয়। এছাড়া সেলিম ফকিরের শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
সেলিম ফকির জানায়, ‘আমার ভাগ্নীকে দীর্ঘদিন থেকে আল আমিন ফরাজী উত্যক্ত করে আসছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় ভাগ্নীকে আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক ফকির, সুজন ফকির, মামুনসহ অজ্ঞাত কয়েক যুবক মিলে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং এতে বাধা দেয়ায় তারা আমাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এদিকে প্রতিপক্ষ আল আমিন ফরাজীর পিতা আমান উল্যাহ ফরাজী জানান, সেলিম ফকিরের ভাগ্নী আমার ছেলের মোবাইলে প্রায়ই ম্যাসেজ পাঠিয়ে বিরক্ত করে। এ বিষয়টি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসা করতে গেলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার ছেলে আল আমিনসহ বেশ কজনকে রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমানে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মাঝে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
চাঁদপুর টাইমস : ডিএইচ/২০১৫।
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।