চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণে আলুর বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টিই তাদের সর্বনাশ করে দিয়েছে। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাওঁ উত্তর-দক্ষিণ, খাদেওগাঁও ও উপাদী উত্তর-দক্ষিণ এই পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৯০ ভাগ কৃষি জমিতে আলু চাষ হয়। এসব ইউনিয়নের কৃষকদের সর্বনাশ করে দিয়েছে গত ২ দিনের বৃষ্টি।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবার প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়ছে। বিগত বছর গুলোতে একর প্রতি ৬/৭ টনের বেশি ফলন পাননি এখানকার কৃষকরা। এবার রোগ বালাই না থাকায় বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা । অনুকুল আবহওয়ার কারণেই আলুর ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টি ভেজা আলু বেশিদিন হিমাগারে সংরক্ষণ করা যাবে না । এ কারনে স্থানীয় হিমাগার গুলো সংকটে পড়তে পারে। এসব ভেজা আলু বীজ হিসেবেও সংরক্ষণ করা যাবে না। আর এ কারণেই হঠাৎ বাজারে আলুর দাম পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
জেিমতে প্রতি কেজি আলু ৬ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি করতে পারছেনা কৃষকরা। অথচ একর প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। কৃষকরা না পারছে আলু বিক্রি করতে, না পারছে সংরক্ষণ করতে।
কৃষকরা জানান, তারা সাধারণত বেপারীদের কাছে জমিতেই একর হিসেবে আলু বিক্রি করে থাকেন । মুশলধারে বৃষ্টিতে এতো বড় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বাড়ি গাও,পটন, আধারা, কালিয়াইশ,লাক শিপপুর, তুষপুর, পাচঁগড়িয়া, আশ্বিনপুর, নন্দিখোলা, বকচর, কানাচোয়া প্রভৃতি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কাঁদা মাটিতে মাখা আলু জমিতে পড়ে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। ভিজে যাওয়া আলু বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে না। এসব কারণেই আলুর দাম কিছুটা কমছে।
মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট ১:১২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, রোববার
ডিএইচ