আশিক বিন রহিম | আপডেট: ০৮:৩৫ অপরাহ্ণ, ০৩ আগস্ট ২০১৫, সোমবার
চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোয় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। পাশাপাশি যেসব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই সেসব উপজেলাগুলোয় নতুন করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
এমনটি জানিয়ে চাঁদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক চাঁদপুর টাইমস-এর এ প্রতিবেদককে জানান, হাইমচর ও শাহরাস্তি উপজেলা ফায়ার স্টেশনকে গ-শ্রেণি থেকে খ শ্রেণিতে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়াও মতলব উত্তর ও ফরিদগঞ্জে শীঘ্রই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে। এ সব উপজেলার গুরুত্ব বিবেচনায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতিকালে চাঁদপুরে ১৫৭টি ছোট বড় অগ্নিকাণ্ড ও ৫টি দুর্ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার ৫শ’ টাকা।
এসব অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় চাঁদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিসের তাৎক্ষণিক কর্মতৎপরতার ফলে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ টাকার সম্পদ।
তবে জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হলে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনগণ সচেতন হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো কমে আসবে।
এসময় তিনি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতায় কিছু পরামর্শ তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি বাড়ির রান্না ঘরে কাজ শেষে অবশ্যই চুলার আগুন নিভিয়ে দেয়া প্রয়োজন। রান্নাঘরে কোনো মতেই শিশুদের পোশাক বা কোনো কাপড় শুকাতে দেয়া ঠিক নয়। কারণ এসব থেকেই অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ির বিদ্যুতায়নের বৈদ্যুতিক তারগুলো অন্ততপক্ষে প্রতি ৬মাস পর পর চেক করা জরুরি। সেখানে কোনো প্রকার ত্রুটি অথবা লুজ কানেকশন থাকলে দ্রুত তা সারিয়ে নেয়া প্রয়োজন। তবেই আমরা অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পেতে পারি।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি