মতলব উত্তরে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দোয়া

১০ মহররম পবিত্র আশুরা। কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে নানা-কর্মসূচির মাধ্যমে গতকাল শনিবার (২৯ জুলাই) পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ১০ই মহরম পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে মুসলমান ধর্মালম্বীরা দিনটি পালন উপলক্ষে গতকাল দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পবিত্র আশুরা পালনে মতলব উত্তর থানা জামে মসজিদ, ছেংগারচর পৌরসভার ইমাম ময়দান নূরীয়া মাদ্রাসা মসজিদে, উপজেলার ফরাজীকান্দি ওয়েসয়িা দরবার শরীফে, উপজেলার আমিয়াপুর হযরত বিবি ফাতেমা মহিলা মাদ্রাসাসহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পবিত্র আশুরা পালনে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মতলব উত্তর থানা মসজিদে ১০ই মহরম পবিত্র আশুরা উপলক্ষে মিলাদ,দোয়া, এবং কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও থানা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, ওসি তদন্ত সানোয়ার হোসেন, ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী মনির হোসেন বেপারী, মতলব উত্তর থানা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ উল্লাহ দর্জি, মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাহআলম প্রধান, এসআই মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন খান,বিশিষ্ট সমাজ সেবক সুরুজ লস্কর, চাঁন মিয়া প্রধান, মোঃ রাসেল দর্জি,মোঃ আবুল হোসেন ঢালী, নুরুল হক খান, মোঃ সোহেল রানাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে সকলের মধ্যে তাবারুক (খিচুরী) বিতরণ বিতরণ করা হয়। মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে মোনাজাদ পরিচালনা করেন, মতলব উত্তর থানা মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ নেওয়াজ শরীফ।
উল্লেখ্য হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। মর্মস্পর্শী এ ঘটনা স্মরণ করে প্রতি-হিজরি সনের ১০ মহররম বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শোকাবহ দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ৩০ জুলাই ২০২৩

Share