মতলবে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ‘৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ’

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে নিয়ে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

৫ দিন পর নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত খোরশেদ আলম তালুকদারকে (৪০) আটক করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর গ্রাম এলাকার একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে খোরশেদ তালুকদার অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে খোরশেদ আলম তালুকদারকে প্রধান আসামী করে মতলব দক্ষিণ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।

পুলিশ জানায়, মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা নারায়ণপুর বাজারের একটি মালবাহী ট্রলি গাড়ীর ড্রাইভার। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে তার মেয়ে অন্যান্য দিনের ন্যায় দুপুরের খাবার নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে নারায়ণপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খর্গপুর গ্রামের আবিদ আলী বাড়ীর সামনের রাস্তায় যাওয়ার পর ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের খোরশেদ আলম তালুকদার তাকে (মেয়েটিকে) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজ্জাক চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং মোবাইল ট্রাকিং করে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নারয়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার থানা-পুলিশের সহায়তায় আল-বারাকা হাসপাতালের পেছনে একটি ভাড়া বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণকারীকে আটক করে মতলব থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে মেয়েকে শারিরীক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হবে বলেও তিনি জানান।

মেয়ের বাবা জানান, তার মেয়েকে অপহরণের পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। গত ১০ এপ্রিল সকালে আমার মেয়ে ফোন করে জানায় তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশেকে জানানো হয়।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ ঘটনায় খোরশেদ আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে এবং প্রধান আসামীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক