মতলব দক্ষিণ

মতলবে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ

তিব্র গরমের সাথে পাল্টা দিয়ে মতলব দক্ষিণে প্রতিনিয়ত চলছে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী। এতে করে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হচ্ছে লোকসান।

পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে সময়ে-অসময়ে ঘন ঘন লোডশিডিং ও বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী চলমান থাকলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। গত ৭দিন যাবত ঝড় বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত বিদ্যুতের ভয়াবহতার কোন কমতি নেই। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুত আসা যাওয়া করে। পাশাপাশি লোডশিডিং এর মাত্রার ও কমতি নেই।

বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে মতলব বাজার সহ উপজেলা বিভিন্ন হাট-বাজারের সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সর্ব সাধারণের মাঝে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

এমন কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বিদ্যুত ছাড়া অচল। তন্মোধ্যে ক্লিনিকের এক্স-রে মেশিন, ওয়ার্কসপ, ছাপাখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত ছাড়া কাজ করা যায় না। এছাড়া কম্পিউটার, ফটোকপি, জুয়েলারী দোকান, কসমেটিক্স, গার্মেন্টস, শপিং কমপ্লেক্স, ব্যাংক-বিমা অফিসগুলোতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের বিদ্যুতের কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভর্তিকৃত রোগীরা সুস্থ না হয়ে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বাসা-বাড়ির ফ্রীজগুলো বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মতলব বাজারের বেশ কয়েকটি মেকানিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগাযোগ করে জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা লোডশেডিং এর কারণে প্রায় ১৫-২০টি ফ্রীজ নষ্ট হয়েছে এবং ওগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

ইকরা কম্পিউটার অপারেটর মো. মেহেদী হাসান জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে কাস্টমার রীতিমত আসে না। আর বিদ্যুৎ ছাড়া জেনারেটরের মাধ্যমে কাজ করলে যে পরিমাণ খরচ হয় তা কাস্টমারদের কাছ থেকে আদায় করা যায় না।

মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ফারুক সরকার জানান, পবিত্র মাহে রমজানের আর অল্পকয়েক দিন বাকী রয়েছে। যেভাবে লোডশেডিং ও বিদ্যুত ভেল্কিবাজী বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে ব্যবসায়ীরা লাভতো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে।

মতলব বাজারের এক সেলুন মালিক জানান, আগে ঘন ঘন লোডশেডিং হলেই বিদ্যুত অফিস বলত মতলবে সাব স্টেশন না থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। এখনতো মতলবে সাব স্টেশন থাকার পরও কেনও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এটা বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের নিকট আমার প্রশ্ন।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর মতলব দক্ষিণ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. মোখলেছুর রহমান ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুর গ্রিডে ৩৩ কেভির কাজের কারণে এবং মতলবের বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যুতের নানা সমস্যার সমাধান করতে গেলে সংযোগ বন্ধ করে কাজ করতে হয়।’

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ২০ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ

Share