চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে পরকীয়া প্রেমিক মানিক (২৬) কে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী
পরে ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচার করা হবে বলে পরকীয়া প্রেমিককে ছাড়িয়ে নেয় এলাকার মাতাব্বররা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরী গ্রামের রমিজ উদ্দিন মিয়াজীর বাড়ির মামুন মিয়াজির স্ত্রী লাবনীর সাথে নেছার আড়ং বাজারের রত্না স্বর্ণ শিল্পায়ের স্বত্তাধিকারী মানিক কর্মকারের পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে উঠে।
মামুন ঢাকায় কাঠ মিস্ত্রির কাজ করায় এবং ঘটনার আগের দিন লাবনীর শ্বশুড়ী নারায়ণগঞ্জ বেড়াতে যায়। ফাঁকা বাড়ি পেয়ে পরকীয়া প্রেমিককে মুঠোফোনে ডেকে আনেন লাবণী। রাতে পরকীয়া প্রেমিক মানিক, লাবনীর ঘরে প্রবেশ করলে এলাকাবাসী তাদের ধরতে ওঁত পেতে থাকে। সারা রাত তারা দুজন ঘরে অবস্থান করার পর সকালে ঘর থেকে মানিককে বের করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।
পরে স্থানীয় মেম্বার হান্নান, নেছার আড়ং বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন, মানিককে জিম্ময়া নিয়ে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেয়।
ঘটনার বিষয়ে লাবনী বলেন, ‘মানিক পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য রাতে আমার ঘরে আসে। ওই সময় ঘরের বাহিরে লোকজন থাকায় সে ভয়ে ঘর থেকে বাহির না হয়ে সারা রাত ঘরেই থেকে যায়।’
পরকীয়া প্রেমিক মানিক বলেন, ‘আমি সকালে পাওনা টাকা আনতে ওই বাড়িতে যাই। তখনই এলাকাবাসী আমাকে মিথ্যা অববাদ দিয়ে মারধর করে।’
স্থানীয় মেম্বার হান্নন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আগামি রোববার সালিশী বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।’
এলাকাবাসী জানায়, এই ঘটনার দুই মাস আগে লাবনী তার শ্বশুর বাড়ির পাশের এক যুবকের সাথে পরকীর সর্ম্পক করে পালিয়ে যায়। পরে বহু খোঁজা খুজির পর তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ ঘটনা জানার পর লাবনীর স্বামী মামুন ও শ্বাশুড়ী গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।
মতলব দক্ষিণ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:০০ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ