Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব : আড়াই শতাধিক শিশু ভর্তি
মতলবে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব : আড়াই শতাধিক শিশু ভর্তি

মতলবে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব : আড়াই শতাধিক শিশু ভর্তি

মতলব দক্ষিণ ও উত্তরে ব্যাপক নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।। মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বর্হিবিভাগেও প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন শিশুকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যায়।

আবহাওয়া পরিবর্তন, দিনে গরম ও রাতে শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তবে এ ব্যাপারে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যে সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর উপজেলাসহ চাঁদপুরে একটি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিনই নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎিসা সেবা নিচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিউমোনিয়া আক্রান্ত প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৬৪ জন ভর্তি রয়েছে। তন্মেধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুই ৩৯ জন। তাদের বয়স শূন্য থেকে সর্বোচ্চ ১-২ বছর।

এছাড়াও শ্বাসকস্ট, মারামারি,সহ বিভিন্ন রোগে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। ৪ অক্টোবর যে সকল নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু দেখা যায় তাদের মধ্যে রয়েছে মতলব দক্ষিণে চরমুকুন্দি গ্রামের রিয়াদ, উপাদীর আনাছি,ডিঙ্গাভাঙ্গার কুলছুমা, নারায়নপুরের ইসরাফিল রবিউল, বহরীর আয়েশা, উপাদীর ওমর ফারুক, শিবপুরের সুমাইয়া, মতলব উত্তর উপজেরার ছেঙ্গারচরের আদিব,আমিরাবাদের সামেদা,ঠেটালিয়ার ইস্রাফিল, বড় হলদিয়ার ফাতেমা, আমুয়াকান্দর কারাবি, আমিরাবাদের রহিম সামেদা,ঠোলিয়ার ইস্রাফিল, বড় হলদিয়ার ফাতেমা,আমুয়াকান্দার ফারাবি, আমিরাবাদের রহিম, চাঁদপুর সদরের বিষ্ণপুরের জিহাদ, জুনায়েদ ওমাইনুল ইসলাম।

মতলব উত্তর উপজেরার লুধুয়া গ্রামের শিশু আমেনার মা মরিয়ম জানান,‘ তার সন্তানকে নিয়ে ৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ডাক্তার ও নার্স যতœ সহকারে রোগী দেখে এবং ঔষধ লিখে দেয়। কিন্তু সব ঔষধ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোড়াধারী গ্রামের শিশু আফসানার মাসহ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের ১০ জন মায়ের সাথে আলাপ করলে সবাই অভিযোগ করেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সব ঔষধ কিনে নিতে হয়।’ তবে ডাক্তার বা নার্সদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।’

হাসপাতালের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নূসরাত জাহান বলেন,‘ ১০-১৫ দিন যাবৎ নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও ৫০ বেডের হাসপাতালে ৬০-৬৫ জন রোগী ভর্তি আছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের চিকিৎসা দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে যতœ সহকারে সেবা প্রদান করা হয়।’

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসান সুমন চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন,গরম-ঠান্ডা জনিত কারণ এবং মায়ের অসেচতনতার কারণে শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে রোগীর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগীর পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ নেই। তবে যতটুকু সম্ভব ঔষধ দেয়া হচ্ছে।’

প্রতিবেদক:মাহফুজ মল্লিক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৩:১০ পিএম,৫ অক্টোবর ২০১৭,বৃহস্পতিবার
এজি

Leave a Reply