ওয়ালটনের ১াট ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রিজ পেয়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আনোয়ার মাস্টার।
শুক্রবার (১১ মে) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর বাজারের হিরা মিয়া খান সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ইলেকট্রনিক্স শোরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে আনোয়ার মাস্টারের কাছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় পাওয়া ফ্রি ফ্রিজ বুঝিয়ে দেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।
শিক্ষক আনোয়ার মাস্টার জানায় ৭ এপ্রিল চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের সোনালী ইলেকট্রনিক্স ওয়ালটন শো’রুমের ডিলার মোঃ ফজলুল হকের এর কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে ওয়ালটনের ২১ সিএফটির একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। ফ্রিজ কেনার পর নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নম্বর দিয়ে েেরজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ফ্রিজ পাওয়ার এসএমএস যায় তার মোবাইলে। ফ্রিজ পেয়ে বেশ আনন্দিত আনোয়ার মাস্টার।
নিজের বাসায় আগে থেকে একটি ফ্রিজ আছে। তবে সেটি আকারে ছোট হওয়ায় উপজেলার ছেংগারচর বাজারের সোনালী ইলেকট্রনিক্স ওয়ালটন শোরুমের ডিলার মোঃ ফজলুল হকের এর কাছ থেকে একটি বড় ফ্রিজ কিনেছেন তিনি। ফ্রিজটি কেনার পর ক্যাশ মেমো করার জন্য ওয়ালটনের সংশ্লিষ্ট কম্পিউটারে নিবন্ধন করতেই তার মোবাইলে পুরস্কার পাওয়ার ম্যাসেজ চলে আসে। তিনি রীতিমত চমকিত। ফ্রিজ কিনেই তিনি ২০ হাজার ৯৯০ টাকা দামের ৮ সিএফটি সাইজের আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পেয়েছেন। দুটি ফ্রিজই তিনি নিজ বাসায় ব্যবহার করবেন বলে জানান।
আনোয়ার মাস্টার জানান, তার সব সময়ই ওয়ালটনের পণ্যের উপর আস্থা আছে। সেই আস্থা থেকে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের হিরা মিয়া খান সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ওয়াটনরস্থ সোনারী ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে একটি বড় ফ্রিজ কিনতে আসেন। ফ্রিজ কিনলে আরেকটি ফ্রিজ ফ্র্রি পেতে পারেন, এমন খবর তার জানা ছিল না। আর পুরস্কারের লোভেও তিনি ফ্রিজ কিনতে আসেননি। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। দেশীয় তৈরি পণ্যের প্রতি তার দূর্বলতা কাজ করতো সবসময়। দেশীয় পণ্য হিসেবে তিনি ওয়ালটনকে ভালোবাসেন, সেই ভালোবাসা থেকে ফ্রিজ কেনার পর ওয়ালটন যেন তাকে ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার ফ্রি ফ্রিজ পাওয়ার সংবাদে এলাকায় এক ধরণের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ওয়ালটন পণ্য কিনতে শোরুমে যাচ্ছেন। আবার যারা পরে কিনবেন, তারাও ওয়ালটন থেকেই কিনবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন।
আনোয়ার মাস্টার আরো বলেন, ‘ওয়ালটনকে অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করি ওয়ালটন পণ্য মানুষ আরো বেশি বেশি কিনবে। কারণ, ওয়ালটন বিশেষ সুবিধা দেয়।’
শুক্রবার আনোয়ার মাস্টারের হাতে লটারীতে পাওয়া ফ্রি ফ্রিজ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন চাঁদপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার (ডবিøউএসএমএস) মোঃ রাকিবুল হাসান, সহকারী এরিয়া ম্যাজোর (ডবিøউএসএমএস), মূশফিকুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার মোঃ সুমন, ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামাল হোসেন খান, সোনালী ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে ব্যবস্থাপক (ডিলার) মোঃ ফজলুল হক, সদস্য মোঃ জিাউর রহমান (জিয়া), হিরা মিয়া খান সুপার মার্কেটের মালিক সদস্য নূর মোহাম্মদ খান প্রমূখ।
সোনালী ইলেকট্রনিক্স এর ওয়ালটন শোরুমটির ব্যবস্থাপক (ডিলার) মোঃ ফজলুল হক ফজলুল হক বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আরেকটা ফ্রিজ পাওয়ার সংবাদে পুরো এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। উৎসুক মানুষ আমাদের সোনালী ইলেকট্রনিক্স ওয়ালটন শো’রুমে ভিড় করছেন। সবার মাঝেই বিস্ময়। তিনি আরো জানান, ‘ওয়ালটন ক্যাম্পেইন শুরুর পর থেকেই এখানে মানুষের মাঝে সাড়া পড়েছে। যখন এক এলাকায় একজন কিছু একটা ফ্রি পায়, তখন সে সংবাদটি দ্রæত অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের এখান থেকে একজন ক্রেতা একটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ায় এলাকার মানুষদের মাঝে বিষয়টি বেশ প্রচার পেয়েছে। যার ফলে গত মাসের তুলনায় অনেক গুণ বিক্রি বেড়ে গেছে।’
এদিকে, ওয়ালটনের চাঁদপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে বিশেষ অফার চলছে। এর আওতায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে তারা অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন। ক্যাম্পেইন শুরুর পর তার এরিয়ায় টিভি-ফ্রিজসহ সব ধরণের পণ্য বিক্রি অনেক গুণ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় আনতে গত ১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী আবারো ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতারা ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি কিংবা এসি কিনে তা রেজিস্ট্রেশন করলেই পেতে পারেন আমেরিকা কিংবা রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ বা ওয়ালটনের আরেকটি ফ্রিজ, টিভি কিংবা এসি সম্পূর্ণ ফ্রি। তবে এসব সুযোগ না পেলেও ক্রেতার জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত নগদ ছাড়। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রীষ্মকালের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ ও এসিতে এবং বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে ওয়ালটন টিভিতে এসব সুবিধা থাকবে আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৮ পর্যন্ত।
প্রতিবেদক : খান মোহাম্মদ কামাল