Home / উপজেলা সংবাদ / ভুয়া কাবিননামা সরবরাহের অভিযোগে কচুয়ার ২ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ
কাবিননামা

ভুয়া কাবিননামা সরবরাহের অভিযোগে কচুয়ার ২ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ

ভুয়া কাবিননামা সরবরাহ করার অভিযোগে কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ ও তার ভাই কাজী মো. মাহমুদুল হাসানকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাজিরা দিতে গেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মহসীনুল হক তাদের উভয়কে জেল হাজতে প্রেরন করেন। জেল হাজতে প্রেরনকৃত নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মাহমুদুল হাসান হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার কাজী ও কাজী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়ার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের কাজী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তারা উভয়ে কচুয়া উপজেলার বড়ইগাঁও গ্রামের মৃত: মাওলানা আব্দুর রবের পুত্র।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামের যুবক মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে দায়েরকৃত মামলার আসামী হিসেবে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। যার মামলা সিআর নং-২৫০/২৩, তারিখ: ২৪.০৪.২০২৩ ইং। ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৬/৪২০/১০৯/৩৪।

বাদী মুনতাসীর শাকিল জানান, তৎকালীন সময়ে আমি দেশে ছিলাম না। একই এলাকার আব্দুল হাকিমের মেয়ে লাহিনুর আক্তারের যোগসাজসে আমি ওই সময়ে ওমানে প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও আমর স্বাক্ষর জাল করে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করেন। এই নিয়ে আমি চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করি। জেল হাজতে প্রেরনকৃত দুই কাজীর বিরুদ্ধে এলাকায় ভুয়া বিবাহ রেজিষ্ট্রিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। কাদলা ইউনিয়ন কাজী আব্দুর রব মারা যাওয়ার পর তার পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ পোষ্যকোঠা দাবী করে জোরপূর্বক নিকাহ নামার কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট রনজিৎ রায় চৌধুরী পিপি, অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল লতিফ ও অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন এবং মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ ।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২৩ এপ্রিল ২০২৪