জাতীয়

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’র অবদান নিরবচ্ছিন্ন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরবচ্ছিন্ন অবদান রয়েছে। ১৯৪৮ সাল থেকেই জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন । রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন ভাষা আন্দোলন শুরু করেন, তখন থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী তার ওপর নজরদারি ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লিখতে শুরু করে।’

বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টার পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ একুশে পদক ২০২০ ’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘একুশে পদক-২০২০’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, পুরস্কারের অর্থ এবং একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়েছে।

৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের একুশে পদক বিজয়ী হিসেবে ২০ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।

একুশে পদক ২০২০ প্রাপ্তরা হলেন-ভাষা আন্দোলনে প্রয়াত আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক,শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান,শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড.ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), প্রয়াত আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), প্রয়াত ডা.আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড.নুরুন নবী, প্রয়াত সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। পাশাপাশি ‘গবেষণায়’ একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Share