Home / সারাদেশ / ভালোবাসার দিবসের আগেই প্রেমের ফসল নবজাতকের লাশ ডাস্টবিনে
ভালোবাসার দিবসের আগেই প্রেমের ফসল নবজাতকের লাশ ডাস্টবিনে

ভালোবাসার দিবসের আগেই প্রেমের ফসল নবজাতকের লাশ ডাস্টবিনে

অনাগত সন্তান ঘিরে মা-বাবার কত না রঙিন স্বপ্ন। মায়ের কোল আলো করে পৃথিবীতে এলে কী নামে তাকে ডাকা হবে_ এ নিয়ে ভাবনার অন্ত থাকে না। নতুন অতিথি আসার আগেই নতুন খেলনা ও পোশাকে ভরে ওঠে ঘর। অনাগত সন্তান ঘিরে এমন ভালোবাসা চিরন্তন।

বিশেষ করে বাঙালি জননীর হৃদয়-মনজুড়ে তার সন্তান। তাকে ‘দুধে-ভাতে’ বড় করার স্বপ্ন। তাই স্বপ্ন ও ভালোবাসার বিপরীত চিত্রও দুর্লভ নয়। আর তা অন্ধকারের কালো নিকষে মোড়ানো। সেখানে স্নেহ-ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও নেই। ঘৃণা, লোকলজ্জা, সমাজের চোখরাঙানি ও তিরস্কারের কষ্টগাথাও মায়ের হৃদয় যেন ছিন্নভিন্ন করে দেয়। জন্মের পরই মা-বাবার কোলের বদলে অনেক নবজাতকের ঠাঁই হয় ডাস্টবিনে, ড্রেনে, ফুটপাতে ও হাসপাতালের আঙিনায়। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই অনেক শিশুকে হত্যা করা হয়।

এবার লক্ষ্মীপুরে সদর হাসপাতালের ময়লা আবর্জনার স্তুপে একটি নবজাতকের লাশ নিয়ে কুকুরকে টানা হেঁচড়া করলেও বাচ্চাটি উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। শুক্রবার বিকেলে সদর হাসপাতালের পশ্চিম পাশে ময়লা আবর্জনা স্তপে পাশে এই ঘটনা ঘটে।

কেউ কেউ বললেন, এ কেমন মানবিকতা, আর শিশুটির মা-বাবাই বা কেমন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়েও।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন। এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে নবজাতকের লাশ ফেলে রাখা অমানবিক একটি বিষয়, যে স্টাফ এ কাজে জড়িত রয়েছে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জানান, কোনো ঝামেলা হতে পারে ভেবেই কেউ বাচ্চা টাকে উদ্ধার করতে আসেনি। কুকুরটি নবজাতকের দেহ টানা হেঁচড়া করতে দেখলেও এগিয়ে আসেননি কেউ।

এদিকে স্থানীয় জনতা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তারা আরো প্রশ্ন করেন শিশুটির মা-বাবাই বা কেমন? যে এমন একটি নবজাতক শিশুকে আবর্জনায় ছুঁড়ে ফেলে যায়।

এঘটনার পর স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা হাসপাতালে খবর দিলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। এভাবে নবজাতকের লাশ ফেলে রাখা অমানবিক একটি বিষয়, যে স্টাফ এ কাজে জড়িত রয়েছে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি জানান, আরা ঘটনার খবর শুনেছি, আমরা ঘটনাস্থলে যাইনি। এব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে কোনো প্রকার অভিযোগও জানায়নি।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার

এমআরআর