বড়কর্তাদের ৯টি ভুলে দূরে চলে যান ছোটকর্তারা

নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৯:৫৮ অপরাহ্ণ, ০৪ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার

১. বাড়তি কাজ : দক্ষ কর্মীরা যতটুকু কাজ করেন তা গুণগত মানসম্পন্ন হয়। এ কারণে বিভাগীয় প্রধান তাঁদের দিয়ে সব সময় বাড়তি কাজ করিয়ে নিতে চান। তখন কর্মীদের কাছে পারদর্শিতা শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে বাড়তি প্রতি ঘণ্টার কাজে উৎপাদনশীলতা কমতে থাকে। কাজেই দক্ষদের দিয়ে বেশি বেশি কাজ করিয়ে লাভ নেই।

২. প্রতিদান না দেওয়া : দক্ষ কর্মীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পাওনাটাও অন্যদের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। নয়তো মেধা বা প্রতিভার মূল্য কোথায়? কিন্তু যখন তাঁরা আর সবার মতোই বিবেচিত হন, তখন চলে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।

৩. ভালো-মন্দ না দেখা : সাধারণত চাকরি ছেড়ে যাওয়ার মূল কারণটি হয় বসের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকা। যেসব বস কর্মীর সফলতায় আনন্দিত হন না অথবা সমস্যায় সমাধানের পথ দেখাতে এগিয়ে আসেন না, তাঁদের অধীনে কোনো কর্মীই কাজ করতে চান না।

৪. প্রতিশ্রুতি পালন না করা : ভালো কর্মীদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অনেক বসই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু মুখের কথা শেষ অবধি কথাই থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে বসদের ওপর আস্থা হারান তাঁরা। অবিশ্বস্ত বসের অধীনে নিরাপত্তাবোধ করেন না কোনো কর্মী।

৫. ভুল মানুষকে প্রমোশন দেওয়া : পরিশ্রমী কর্মীরা কিছুটা বেশি পাওয়ার দাবি রাখেন। কিন্তু অনেক সময়ই বসরা তাঁদের এড়িয়ে ভুল মানুষদের প্রমোশন দেন। এতে যোগ্য কর্মীদের মাঝে হতাশা চলে আসে। তাঁরা কাজের স্বীকৃতি পেতে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যান।

৬. কর্মীদের আবেগকে পাত্তা না দেওয়া : প্রত্যেক কর্মীর নিজস্ব পছন্দ এবং প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো বসের কাছে নিগৃহীত হলে কর্মীদের অহংবোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের উৎপাদনশীলতা কমতে থাকে। যাঁরা সব নিয়ম পালন করেও আবেগ লালনে বাধাপ্রাপ্ত হন, তাঁদের কাছে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

৭. কর্মীর দক্ষতাকে হেয় করা : লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে জবাবদিহির ক্ষেত্রে অনেক সময় বসরা কর্মীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেন। তাঁদের বিশ্বস্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই অনৈতিক আচরণ কোনো কর্মীর কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় না।

৮. সৃষ্টিশীলতায় বাধা প্রদান : মনোযোগী কর্মীরা যেখানেই হাত দেন, সেখানেই ভালো কিছু ঘটে। সৃষ্টিশীল কর্মীদের এই অসাধারণ গুণের কদর না করলেই নয়। কিন্তু উল্টো হেয়প্রতিপন্ন হওয়া মোটেও কাম্য নয়। আর বিপরীতটা ঘটলেই কাজে বিতৃষ্ণা চলে আসে।

৯. অযথা পীড়াদায়ক লক্ষ্য নির্ধারণ করা : প্রত্যেক কর্মীর কর্মক্ষমতার সীমা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষ্য না দিয়ে বসরা অস্বাভাবিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। আর তা অর্জনে কর্মীদের সুস্থ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি মনে হয় কর্মীর কাছে।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

Share