বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের কারণে গত শুক্রবার দুপুর থেকে কখনো থেমে থেমে,কখনো গুড়িগুড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষ করে শনিবার রাত ৮ টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হওয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঘর থেকে বের হতে পারেনি নিম্ন ও মধ্য আয়ের সাধারণ মানুষ। অতি প্রয়োজনে কিছু মানুষ ঘর থেকে বের হলে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।
এ অভিরাম বৃষ্টিতে বিশেষকরে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চালের মানুষের। এতে করে অসুস্থ রোগি ও গর্ভবর্তী মাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে দেখা যায় হাসপাতালের ছুটে আসা মানুষের।
জয়শরা গ্রামের রাসেদ বলেন, আমার ৬ মাসের বাচ্ছা খুব অসুস্থ ছিল। হাসপাতালে আসার সময় পথে কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখিনি।
আহম্মেদিয়া হোটেলের মালিক শাহআলম বলেন, গত তিনদিন ধরে হোটেলে তেমন মানুষ আসতে পারেনি বৃষ্টির কারনে।
সংবাদপত্র বিক্রেতা হকার মনোয়ার জানান, বৃষ্টির কারনে বেশীভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ পেয়েছি। তাছাড়া মানুষের দেখা না পাওয়ায় গত তিনদিনে প্রায় ৬শ পত্রিকা বিক্রি হয়নি।
মানিক হোসেন নামের একজন অটোচালক জানান, আমি ভাড়ায় অটো চালাই।মালিককে প্রতিদিনের জমা দিতে হয় চারশো টাকা। কিন্তু গত তিন দিনের বৃষ্টির কারনে নিজের বেতন-তো দূরের কথা গাড়ির জমার টাকাই উঠাতে পারি নাই।
জামাল হোসেন নামের একজন ভ্রাম্যমাণ ঝালবুট (সিদ্ধ ছোলা) বিক্রেতা জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাত্র ১৭০টাকা বিক্রি করেছি। লাভ-তো দূরের কথা, চালান (মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয়) উঠাতে পারি নাই।
সবমিলে বলা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন ধরে হাজীগঞ্জে থেমে থেমে, কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ধারাবাহিক এই বৃষ্টির কারনে বাজার এলাকায় মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। যানবাহনও কম দেখা গেছে সড়কে। বিশেষ করে ছোট যানবাহনের চালক, হকার, ফেরিওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভিক্ষুক ও ভাসমান বেদে পরিবারসহ নিন্ম আয়ের মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েন।
প্রতিবেদকঃ জহিরুল ইসলাম জয়, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১