Tuesday, 09 June, 2015 09:40:28 PM
চাঁদপুর টাইমস, নীলফামারী:
৬ দিন থেকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শিক্ষকের বাড়ীতে প্রেমিকা শিক্ষাথী অনশন করছে। এ ঘটনায় প্রেমিক শিক্ষক বর্তমানে পালাতক। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। উক্ত প্রেমিকা মায়া রানীকে একটি ঘরে আটক করে পরিবারের কোন লোকের সাথে দেখা ও কথা বলতে দিচ্ছে না।
এমনকি ৬দিন থেকে একই কাপড়ে উক্ত প্রেমিকা পড়ে আছে প্রেমিকের বাসায়। মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর ডিমলায় খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামে।
জানা যায়, গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী বড় হরিসভা পাড়ার নিশিকান্ত রায়ের কন্যা ও ডিমলা ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী মায়া রানীর (২২) সাথে পাশ্ববর্তী খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের ধিরেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র ও গয়াবাড়ী বড় হরিসভাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সত্যেন্দ্র নাথ রায়ের (৪০) দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বুধবার রাতে প্রেমিকা মায়া রানীর বাড়ী সংলগ্ন বাগানে অনৈতিক কার্যকলাপ করার সময় এলাকবাসী প্রেমিক শিক্ষক সত্যেন্দ্রকে আটক করে।
এ সময় এলাকার লোকজন সতেন্দ্র রায়ের বাড়ীতে নিয়ে মায়া রানীকে দিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে মায়া রানীকে বাড়ীতে ফেলে কথিত শিক্ষক প্রেমিক পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৬দিন থেকে প্রেমিকার সাথে বিয়ের জন্য মায়া রানী উক্ত বাড়ীতে অনশন করছে। মায়া রানী ও এলাবাসী জানায়, সত্যেন্দ্র রায় ২সন্তানের জনক হওয়ার পরেও ২০০৫ সাল থেকে মায়া রানীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল। সত্যেন্দ্র আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই আমার।
এ ব্যাপারে গয়াবাড়ী হরিসভা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চণ্ডি দাস রায় জানায়, মায়া রানীর সাথে তার প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক সত্যেন্দ্র নাথ রায়ের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চল আসছিল। বিষয়টি আমিসহ সহকারী শিক্ষকগণ নিষেধ করার পরও তিনি নিরব ভুমিকা পালন করেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে উক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনি এমনকি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন।
এ ব্যাপারে মায়া রানীর পিতা দিনমজুর নিশিকান্ত বলেন আমার মেয়ের সর্বনাশ করে প্রতারক সত্যেন্দ্র নাথ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ৬ দিন ধরে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
আমরা গরিব মানুষ অনেক কষ্টে মেয়েটাকে পড়ালেখা করাচ্ছি। সত্যেন্দ্র আমার মেয়ের যে, সর্বনাশ করেছে তাকে বিয়ে না করলে। মেয়েসহ আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না। আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে এর জন্য সত্যেন্দ্র দায়ী থাকবে। আমি সত্যেন্দ্রনাথের বিচার চাই।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ডিএইচ/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur