মেয়ে মুন্নী আক্তারকে (১৮) বিয়ে দেয়ার কথা বলে যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া ছিল মা পরি ভানুর (৪০) পেশা। যুবকদের ফাঁদে ফেলতে মাকে এ কাজে সহায়তা করতেন মেয়ে মুন্নী আক্তার। তাদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। চক্রটি অবিবাহিত ব্যবসায়ী যুবকদের খুঁজে বের করে। এরপর ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
অবশেষে চক্রের অন্যতম দুই সদস্য মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮-এর সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৩০ মে) দুপুরে বরিশাল র্যাব-৮-এর সদর দফতর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
মুন্নী আক্তার ও তার মা পরি ভানু ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার আফিসার্স ক্লাব এলাকার বাসিন্দা। মুন্নীর বাবার নাম বাদল মৃধা। আর তার স্বামীর নাম জুম্মন মোল্লা।
র্যাব জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে র্যাব। সম্প্রতি বরিশাল নগরীর মাসুদ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের ১০ দিনের মধ্যে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মুন্নী ও তার মা।
র্যাব জানায়, ১৭ মে মুন্নী বরিশাল নগরীর সাগরদী বাজারে একটি কনফেকশনারির দোকানে এসে নিজেকে গরিব ও অসহায় দাবি করে বাবার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চান। এ সময় নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে কনফেকশনারির মালিক মাসুদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মাসুদকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন মুন্নী। একপর্যায়ে মুন্নীর মা পরি ভানু মেয়েকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য মাসুদকে চাপ দেন। বিয়ের খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে পরি ভানুর কথামতো ২৭ মে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মুন্নীকে বিয়ে করতে রাজাপুরে যান মাসুদ। সেখানে পৌঁছার পর মাসুদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান মা পরি ভানু।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে র্যাবের কাছে অভিযোগ দেন মাসুদ। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজাপুর শহরের বাইপাস মোড় থেকে মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মা ও মেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বার্তা কক্ষ,৩০ মে ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur