Home / স্বাস্থ্য / বিশ্ব স্ট্রোক দিবস : ৯০ % স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য
doctor

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস : ৯০ % স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য

বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মুল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা.হুমায়ুন কবীর হিমু। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি (অব)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক এস এ খান। আরোও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু,অধ্যাপক খুরশীদ মাহমুদ,ডা.শিরাজী শাফিকুল ইসলাম,ডা.মোহাম্মদ উল্লাহ ফিরোজ।

মুল নিবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়,যদি কারও মুখ বেঁকে যায়,এক হাত অবশ হয়ে যায়,কথা জড়িয়ে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নিলে স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসা আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে স্ট্রোকের চিকিৎসা সময় সাড়ে চার ঘন্টা থেকে বেড়ে যাচ্ছে। আইভি থ্রোম্বলাইসিস ছাড়াও স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা মেকানিকাল থ্রোম্বেক্টমি দেশেই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্ট্রোকের ৬ ঘন্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। তবে ক্ষেত্র বিশেষে স্ট্রোকের ৬ ঘন্টা পরেও আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা যায়।

ডা. শিরাজী শাফিকুল ইসলাম বলেন,‘ স্ট্রোকের চিকিৎসা আছে। বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ’

অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু বলেন,‘স্ট্রোকের ৯০ ভাগ প্রতিরোধযোগ্য। মাত্র ১০টি কারণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস,রক্তে কোলস্টেরলের আধিক্য,ধুমপান,মদপান নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়।’

অধ্যাপক খুরশীদ মাহমুদ বলেন,‘স্ট্রোকের চিকিৎসায় রিহ্যাবিলিটেশনের ভুমিকা অনেক। স্ট্রোকের পর থেকেই রিহ্যাবিলিটেশন শুরু করতে হয়। রিহ্যাবিলিটেশন মানে কিন্তু ফিজিওথেরাপি নয়।ফিজিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিস্টের তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপিস্ট,স্পিচ থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট কাজ করেন। স্ট্রোকের পর আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থভাবে পরিবারের কাছে ফেরত দিতে রিহ্যাবিলিটেশন টিম কাজ করে। ‘

ডা.মোহাম্মদ উল্লাহ ফিরোজ বলেন,‘বর্তমানে রক্তনালী ঘটিত রোগ যেমন স্ট্রোক,হার্ট অ্যাটাকের মহামারি চলছে। এ মহামারি রুখতে কাজ করতে হবে সবাইকে।’

প্রধান অতিথি অধ্যাপক এস এ খান বলেন,‘স্ট্রোক ভয়াবহ রোগ। পরিবারের কেউ স্ট্রোক আক্রান্ত হলে পুরো পরিবারই পথে বসে যায়। স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসাগুলো আগে শুধু উন্নত বিশ্বে হতোর । এখন বাংলাদেশে হচ্ছে, এটা খুব ভালো লাগার মত খবর। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা দিতে পেরে গর্বিত । ‘

চাঁদপুর টাইমস
অক্টোবর ২৯,২০২৩
এজি