নারী

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে ছাত্রীদের কুমারীত্বের পরীক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে ছাত্রীদেরকে অবশ্যই কুমারিত্ব পরীক্ষা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মিশরীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইলহামি আগিনা।

একজন পার্লামেন্ট সদস্যের এমন মন্তব্যে দেশটিতে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। নারী অধিকার সংগঠন তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছে।

রাষ্ট্র-অনুমোদিত ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর উইমেন’র প্রধান মায়া মোরসি বলেছেন, অভিযোগে ইলহামি আগিনাকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই আইনপ্রণেতা মিশরীয় নারী, পুরুষ এবং দেশেরই সম্মানহানি করছেন।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ইলহামি আগিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অনানুষ্ঠানিক বিয়ে (অনেকটা বিবাহবহির্ভুত যৌন সম্পর্কের মতো) ঠেকাতে কুমারিত্ব পরীক্ষা প্রয়োজন।

‘গাওয়াজ অরফি’ হিসেবে পরিচিত এই বিয়েতে মূলত কোনো খরচ নেই। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং গৃহায়নে অসমর্থ হওয়ায় মিশরীয় যুবকদের মাঝে সম্প্রতি এ ধরনের বিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ধর্মীয় নেতারা।

এছাড়া মুসলিম প্রধান মিশরে তরুণীদের ‘কুমারিত্বকে পরিবারের সম্মানের বিষয়’ হিসেবেও দেখা হয়। তরুণীরা কুমারিত্ব হারালে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের আর বিয়ে হয় না।

প্রসঙ্গত, গণবিক্ষোভের মুখে স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পদত্যাগের কিছুদিন পর ২০১১ সালে কায়রোর তাহরির স্কয়ারে একটি বিক্ষোভ পণ্ড করে দেয় সেনাবাহিনী।

ওই বিক্ষোভ থেকে আটক ১৯ নারীর কুমারিত্ব পরীক্ষা করা হয় বলে ওই সময় সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি স্বীকার করলেও সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণে এটা করা হয়েছিল।

এছাড়া নারী পার্লামেন্ট সদস্যরা শালীন পোশাক পরিধান করেন না বলে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ইলহামি আগিনা।

এর আগে পুরুষদের সামর্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যৌন চাহিদা কমাতে নারীদের ‘খতনা’র কথা বলে তোপের মুখে পড়েছিলেন এই আলোচিত পার্লামেন্ট সদস্য।-আল-আরাবিয়া অনলাইন।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Share