বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রিয় ভাইয়েরা মহান আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও আপনাদের আন্দোলের মাধ্যমে আমরা দুইজন মুক্তি পেয়েছি। আরও অনেকে এখনো কারাগারে আছেন। শুধু বন্দি নয়, তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এটা সেলের মধ্যে ৫ থেকে ৭ জনকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা গ্রেফতার করে ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে। সরকার যতবেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুঁসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আজ সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এলে আমরা জামিননামা দাখিল করি। এ জামিননামা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারামুক্তি দেওয়া হয়।
গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ফখরুল-আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তাই আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন এ শপথ নিয়ে নতুন অঙ্গীকার করি। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
এসময় ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ও গণমিছিল সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশের জায়গা নিয়ে অস্থির অবস্থা মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। আমার অপরাধ ছিল আমি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি।
কারাগারে থাকা অবস্থায় পরিবারের খোঁজ নেওয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যেমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করা হবে।
বার্তা কক্ষ, ৯ জানুয়ারি ২০২৩