জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। আন্দোলনের পথ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিতেও দলটিকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার গাজীপুর সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা -টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার কোন খায়েশ আওয়ামী লীগের নেই, আমাদের সরকারের নেই। নিবন্ধিত দল হিসেবে নির্বাচন করবে এমন অধিকার তাদের আছে।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে সম্প্রতি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর দলটির নেতারা তাকে ছাড়া নির্বাচনে না আসার কথা বলছেন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই সাজানো মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার ক্ষমতায় আসতে চাইলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়াকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। লিগ্যাল ব্যাটলের (আইনি লড়াই) মাধ্যমে বেগম জিয়া বের হলে এখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
বিএনপি যে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে, তাতে পাত্তা দিচ্ছেন না কাদের। বলেন, ‘আন্দোলনের পার্ট বিএনপির চুকে গেছে। আমি বিএনপিকে পরামর্শ দেবো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে।’
‘বিএনপি চেয়ারপরাসনকে আন্দোলনের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করবেন, সেই বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশের জনগণ কাউকে কারামুক্তির জন্য আন্দোলন করে মুক্ত করবে সেই বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে। তারা বেগম জিয়া গ্রেপ্তারের পর ভেবেছিল বাংলাদেশ আন্দোলনে উত্তাল হবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
কাদের বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তের বিপরীতে বিএনপি যে আন্দোলন করছে, সেটি আদালত অবমাননার। আদালতের রায়ে তাদের নেত্রী বেগম জিয়া দণ্ডিত হয়েছেন, আদালতের বিরুদ্ধে তো তারা আন্দোলন করতে পারেন না। সেটিও তাদের অন্যায়, পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘাত করতে চান, রাস্তা বন্ধ করে অনশন করবেন এটি কোনো আইনসিদ্ধ বিষয় নয়।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, প্রকল্প পরিচালক ইসহাকসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। আগামী ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে বিড়ম্বনায় পড়বে না বলেও আশার কথা জানান মন্ত্রী।(ঢাকাটাইমস)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ৩০ পি.এম ১০মার্চ,২০১৮শনিবার
কে এইচ