Home / শীর্ষ সংবাদ / চাঁদপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণের দাম : ব্যবসায়ীদের দাবি আমদানী সংকট
বাড়ছে নিত্যপণের দাম

চাঁদপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণের দাম : ব্যবসায়ীদের দাবি আমদানী সংকট

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ যখন দিশাহারা, ঠিক তখনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম । একশ্রেণির অসাধু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা আদায় করছে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বলে বাজরে উপস্থিত ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ক্রেতাদের দাবি রমজানকে সামনে রেখে মুদী ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম ইচ্ছাকৃত বাড়াচ্ছে। ৪৫-৫০ টাকা কেজির ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা।

খবর নিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের কয়েকটি বাজার ও অন্যান্য উপজেলার বাজারগুলোতে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আদা, রসুন, পিয়াজ, ছোলা, তেল, আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের মাঝে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

গত শুক্রবার শহরের পাল বাজার ও ওয়্যারলেস বাজারে আব্দুল মতিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মহসিন সরদার, শফিউল্লাহ গাজীসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, দেশের কোথাও চালের সংকট নেই। শুধু চাঁদপুরে চালের সংকট দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অনেক বেশি, দোকানে সব পণ্য পাওয়াও যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা তাদেও গোডাউনে এসব মজুদ করে রেখেছেন। অতিরিক্ত মূল্য হওয়ায় চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছি। তাই তারা বাজারে কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এদিকে ওয়ারলেছ বাজার ও পালবাজারের মাংস ব্যবসায়ীদের দোকানে গিয়ে দেখা যায় মূল্য তালিকায় গরুর গোশত ৫৫০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করছেন ৬০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের এ অসংগতির কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, এভাবেই বিক্রি করতে হয়। সবাই এই দামেই বিক্রি করে।
শহরের পালবাজারের ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার ও সালামত খান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে শ্রমিক ও পরিবহন কমে যাওয়ায় মোকাম থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানী করা যাচ্ছে না। এমনকি পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। এর প্রভাব পড়েছে জেলার প্রান্তিক বাজারগুলোতে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, পরিবহন সংকট নেই, তবে লেবার সংকট আছে এটা সত্য। এরপরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এভাবে বাড়াটা অযোক্তিক। যদিও আমাদের জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম সক্রিয় আছে। এরপরও আমরা আরো জোরালো ভাবে মনিটরিং করবো। যাতে করে দেশের এই ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে।

প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ১৯ এপ্রিল ২০২০