বাসায় নিহত স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে তুলে হাতিরঝিলে নাটক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন সাকিবুল আলম মিশু নামে এক ব্যক্তি। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মহাখালীর আমতলীতে পুলিশ ওই তাকে আটক করে।
বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চারজন ব্যক্তি ওই নারীকে বাসার সিঁড়ি দিয়ে চ্যাংদোলা করে বের করছেন।
নিহতের পরিবার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ স্বামী মিশুকে আটক করেছে।
মিশু পুলিশের জেরায় জানায়, তাদের বাসা গুলশান ২ নম্বর সড়কের ৩৬ নম্বর রোডে। বাসা থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বের হন। হাতিরঝিল আমবাগান এলাকায় রাস্তায় আইল্যান্ডের ওপর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা খেলে তিনি ডান হাতে সামান্য আঘাত পান এবং গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ঝিলিক আলম (২৩) গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, আহত অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সকাল সোয়া ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
তবে স্বামীর আচরণ রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে জেরা করে। খোঁজ নেয় তার গুলশানের বাসায়। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ঝিলিককে বাসা থেকেই অচেতন অবস্থায় বের করা হয়।
এরপর মিশুসহ দুজনকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
নিহত ঝিলিকের মা জানান, ঝিলিক ও মিশু ভালোবেসে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছি। স্বামীসহ দুজনকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আটক করেছে।’
নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ঝিলিকের দেবর ফাহিম জানাব, ঝিলিকের বাসাতেই মৃত্যু হয়েছে। তবে তার ভাই কেন দুর্ঘটনার কথা বলেছেন, তা তার জানা নেই।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ০৩ মার্চ, ২০২১;