দারিদ্র্য ও অসমতা হ্রাসে অর্থনৈতিক কর্মকারে বাইরে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে এই সুরক্ষা কার্যক্রমে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও পরিধি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ, অতি দরিদ্র এলাকা ও জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনা করে পরিধি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
শুরুতে ২০০৫-২০০৬ সালে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭৩.২ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এই সুরক্ষা কার্যক্রমে জিডিপির ২.৫৫ শতাংশ ব্যয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১৩.৯২ শতাংশ।
স্বচ্ছতা ও কর্মসূচি লক্ষ্যাভিমুখী করতে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের নিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জি-টু-পি পদ্ধতিতে সুবিধাভোগীরা বাড়িতে বসে পূর্বনির্ধারিত দিনে সহায়তা-ভাতা পাবেন।
বয়স্ক ভাতাভোগীদের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ লাখ করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ১২ লাখ ৬৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৪ লাখ করা হয়েছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর সংখ্যা আট লাখ ২৫ হাজার থেকে ১০ লাখ করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক তিন স্তরেই অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার জন করা হয়েছে। হিজড়া বেদে ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর সঙ্গে ভাতাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, স্ট্রোক ও জন্মগত হৃদরোগী হিসেবে উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জন করা হয়েছে।
দরিদ্র মা’র মাতৃত্বকালীন ভাতা ৫ শ থেকে ৮শ টাকা করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন এই ভাতার মেয়াদ দু’ বছরের স্থলে তিন বছর এবং উপকারভোগীর সংখ্যা দু’ লাখ ৫০ হাজার জন করা হয়েছে। ভিজিডি কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ লাখ ৪০ হাজার করা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:১০ পিএম, ৮ জুন ২০১৮,শুক্রবার
এজি