দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে এই প্রথমবাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে পারমাণবিক ক্ষেত্রে পা রাখতে যাচ্ছে ভারত। আর এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে রাশিয়া। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ‘ম্যানুফ্যাকচার ইকুইপমেন্টস’ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে ভারত।
বিদেশের মাটিতে ভারতের প্রথম আণবিক শক্তি সংক্রান্ত কোনো উদ্যোগ এটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় ভারত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশে ‘ম্যানুফ্যাকচার ইকুইপমেন্টস’ সরবরাহ করবে।
১৯৭৪ সালে পোখরান পরীক্ষার পর ভারতের ওপর পারমাণবিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে এই ক্ষেত্রটি বিস্তৃতি লাভ করতে পারেনি। বাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে পারমাণবিক ক্ষেত্রে পা রাখতে যাচ্ছে ভারত।
উল্লেখ্য, দেশে পাবনার রূপপুরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ শেষ করার জন্য ঠিকাদার কোম্পানি রাশিয়ার অ্যাটমস্ট্রয়েক্সপোর্ট আজ থেকে ৬৬ মাস বা সাড়ে পাঁচ বছর সময় পাবে। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের মে-জুনে কেন্দ্রটির ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট এবং এর পরের বছর একই ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ১৯৬১-৬২ সালে। তবে ২০১১ সালের ২ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তসরকার সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এই প্রকল্পের কাজ গতি পায়। তারও ছয় বছর পর আজ এই প্রকল্পের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ শুরু হলো।
রাশিয়ার দেওয়া প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ সরবরাহ ঋণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি ব্যবহার করা হবে। রাশিয়ার বাইরে এই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরেই প্রথম হচ্ছে।সূত্র-(প্রিয়.কম)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:৪০ পি.এম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার
ইব্রাহীম জুয়েল