বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইংল্যান্ডের নতুন বাহানা । আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ডের সফর করার কথা রয়েছে। আর এই সফরকে কেন্দ্র করে একের পর এক পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সফর নিয়ে টালবাহানা করা বোর্ডটি ভিন্ন ধরনের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
যেখানে বলা হচ্ছে যদি বাংলাদেশকে নিরাপদ বলে তাদের নিরাপত্তা দল ঘোষণা করে, আর ক্রিকেটাররা সফরটিতে না আসতে চায়, তবে তাদেরকে বোর্ড কর্তৃক কোনোভাবে শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। তারা আসতে না চাইলে সে ক্ষেত্রে বোর্ড থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে!
এ ব্যাপারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসিবি দেশটির ক্রিকেটারদের বাংলাদেশ সফর করা প্রসঙ্গে তাদের পছন্দের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা দলের রিপোর্টের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। তবে ইংলিশ ক্রিকেটাররা নাকি এখনও নিজেদের মতামত জানায়নি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। সফরের সূচি চূড়ান্ত হলেও গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় বিদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি, ভেন্যু ও হোটেলের সুযোগ-সুবিধা সরেজমিনে দেখতে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তিন সদস্যের পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় পৌঁছাবে আগামী ১৭ আগস্ট। পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্বে থাকবেন ইসিবির নিরাপত্তা পরামর্শক ও মেলবোর্ন পুলিশের সাবেক কমকর্তা রেগ ডিকসন।
বাংলাদেশে আসার আগে ভারত সফর করছে পর্যবেক্ষক দলটি। নভেম্বরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ভারত সফরের কথা রয়েছে। ০২ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভারত যাবে ইংলিশরা। সে জন্য ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে পর্যবেক্ষক দল তাদের নিজস্ব কাজগুলো করে বাংলাদেশে আসবেন।
এদিকে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ পল ফারব্রেস জানান, ইসিবি নিজেদের ক্রিকেটারদের নিজেদের মতামতের ব্যাপারে প্রস্তাব করেছে। তবে সকল সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা দল ফিরে আসার পরই জানানো হবে।
২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোর হামলার সময় শ্রীলঙ্কান দলের কোচ থাকা ফারব্রেস আরও বলেন, ‘ক্রিকেটারদের মতামতের বিপরীতে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১২ দিন আগে ওয়ানডে ও টেস্ট দলের সঙ্গে আলাপ করেছি। তবে সম্মত হয়েছি নিরাপত্তা দল ফিরে আসার আগে কোনো কিছুই বলবো না।’
ইসিবি যদি ক্রিকেটারদের এমন পরামর্শ দেয় তবে হিতে-বিপরীতও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ জাতীয় দলের বর্তমানে যারা আছে তারা সফর না করলে ‘রিপ্লেসমেন্টে’ যাবে অন্য কেউ। ফলে তারা যদি ভালো পারর্ফম করতে পারে, তাহলে জায়গা হারাতে পারে বর্তমান ক্রিকেটাররা।
এমন এক ঘটনা ঘটেছিল ২০০১ সালে। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে’ সন্ত্রাসী হামলার পর ইসিবি ভারত সফরে ইংলিশ ক্রিকেটারদের এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। আর সেই সফরে অ্যান্ডি ক্যাডিক ও রবার্ট ক্রোফ্ট খেলতে যাননি। পরবর্তীতে ক্রোফ্ট ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে আর ফিরতেও পারেননি।বাংলানিউজ
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:৫৮ পি,এম ১৪ আগস্ট ২০১৬,রবিবার
ইব্রাহীম জুয়েল