Home / তথ্য প্রযুক্তি / বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার কি আসলেই বন্ধ?
বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার কি আসলেই বন্ধ?

বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার কি আসলেই বন্ধ?

বাংলাদেশে সব বয়সী মানুষে কাছেই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ফেসবুক। “মোবাইল ফোনে নেদারল্যান্ডস আর পিসিতে যুক্তরাষ্ট্রে আছি” সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে আজ বৃহস্পতিবার একজনের দেয়া স্ট্যাটাস এটি।

এর নিচে কমেন্টে কেউ লিখেছেন “আমি যুক্তরাষ্ট্রে”, আবার কেউ লিখেছেন “আমি জার্মানিতে” অথবা “আমি জাপানে”।

এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের সরকার ফেসবুক, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর ফেসবুকে সবাই কি বিদেশ থেকে “চেক ইন” করছেন?

ওপরের স্ট্যাটাস কিংবা কমেন্টদাতারা সবাই-ই বাংলাদেশ থেকে নিজেদের ফোন বা কম্পিউটার থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।

অর্থাৎ ফেসবুক বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঠিকই তা ব্যবহার করা যাচ্ছ । কিভাবে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (নামটি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে না) বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে এসে লোকজনকে এতটা বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। তথ্যপ্রযুক্তি এখন কোন জায়গায় চলে গেছে সে সম্পর্কে সরকারের লোকজনের বোধহয় কোনও ধারনাই নেই। কারণ সরকার একদিকে এসব মাধ্যম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে এগুলোর ব্যবহার যথারীতি চলছেই”।

সরকার বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকবে।

তিনি জানান, এখন এমন সব সফটওয়্যার আছে যা যে কেউ চাইলেই ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে তার সাহায্যে ফেসুবক ব্যবহার করতে পারে। আর সেটাই করা হচ্ছে এখন। এর ফলে একজন ফেসবুকে ঢুকলেও বাংলাদেশের আইপি অ্যাড্রেস সেখানে দেখাবে না। দেখাবে অন্য কোনও দেশের অ্যাড্রেস।

এধরনের প্রযুক্তিকে বলে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন সফটওয়্যার।

এছাড়া মোবাইল ফোন থেকেও বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্সি সা্ইট ব্যবহার করে ফেসবুক ব্রাউজিং করছেন অনেকে। এমনই একজন বলছিলেন তিনি নিজের নকিয়া মোবাইল থেকে সকালেই ফেসবুক চেক করেছেন।

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সেবা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ নিষেধাজ্ঞার মাঝেই ফেসবুকে ঢুকতে পেরে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

আরাফাত সিদ্দিকী নামে একজন্য ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ফেসবুক নাই তাতে কি ইউটিউব-এ ঢুকে স্ট্যাটাস দিছি…”

সৈয়দ মিসবাউল আনোয়ার নামে একজন ফেসবুকে ঢুকে ঠাট্টা করে লিখছেন “বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ।”

“Install a VPN app”-লিখেছেন মির রাব্বি। এরকম অসংখ্য স্ট্যাটাস দিয়েই সয়লাব আজকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ মানে কি? লগ ইন করলাম, পাইলাম! বাংলালায়ন মডেম দিয়ে। প্রতিবেশিকে বলতেই তিনি গ্রামীন মডেম দিয়েও দেখি স্ট্যাটাস দিলেন..যদিও ভিপিএন হয়ে। তবে চলছে তো”।

তথ্য প্রযুক্তি এতটাই দূরে চলে গেছে যে ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপেও যোগাযোগের উপায় বের করে নিচ্ছেন অনেকেই।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

এমআরআর